পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a६fचषTां★ । ] নবাবি আমলে দেশের অবস্থা । ○S) সাধারণ অবস্থা— নবাৰি আমলে দেশের অবস্থা মোটামুটি ভালই ছিল। বিচার কার্ধ্য সূক্ষ্মভাবে সম্পাদিত না হইলেও, দেশের লোক অনেক পরিমাণে মুখস্বচ্ছন্দে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিত, অহরহ অন্নকষ্ট ছিল না, লোকের ধৰ্ম্ম ভয় প্রবল ছিল, সত্য কথা বই তাহারা মিথ্যা বলিত না । অন্যায়ীচরণে সহজে লোক যাইত না বলিয়া ফৌজদারী মোকদুমার এত ছড়াছড়ি ছিল না, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় গ্রামের মাতব্বর ব্যক্তিরাই মীমাংসা করিয়া দিতেন, বয়োজ্যেষ্ঠ ও উৰ্দ্ধ সম্পর্কিত ব্যক্তিদের প্রচুর সম্মান ছিল, তখন উৎকট সাম্যনীতির স্রোতে হিন্দু সমাজের প্রাচীন স্থনীতি ভাসাইয়া দিতে পারে নাই। ঐ সময়েই দেশে, দেশের মুখে জ্বলকারী অনেক মহাপুরুষের অভু্যদয় হয়। মহাপুরুষ ও গ্রন্থকার—— যে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্তের নামে বঙ্গদেশের নাম চিরউজ্জল হইয়াছে, ঐহটের ঢাকাদক্ষিণে এই সময়েই র্তাহার পিতামহ উপেন্দ্র ও পিতা জগন্নাথ মিশ্রের জন্ম হয়। যে নীলম্বর চক্রবর্তী জ্যোতিৰ্ব্বিদ্যায় বঙ্গবিখ্যাত ছিলেন, শ্রীচৈতন্যের মাতামহ সেই বিখ্যাত পণ্ডিত তরফের জয়পুরে এই সময়েই জন্ম পরিগ্রহ করেন, জয়পুরে জাত ইহারই তনয় শচীদেবী শ্রীচৈতন্যের জননী। খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে যখন শ্ৰীহট্ট এক ভীষণ জনাবৃষ্টি জনিত দুর্ভিক্ষণদিতে প্রপীড়িত হয়, * যখন তজ্জন্য বহুব্যক্তি শ্ৰীহট্ট ত্যাগ করতঃ ভিন্নদেশে গমন করেন, সেই সময়েই নীলাম্বর চক্রবর্তী সপরিবারে জয়পুর হইতে নদীয়ায় গমন করিয়াছিলেন। শ্রীচৈতন্যের পাশ্বদ স্ত্রীবাসাচার্য্য, শ্রীচৈতন্যলীলার আদি লেখক পার্শ্বদকবি মুরারি গুপ্ত, প্রাচীন পদকৰ্ত্তা যদুনাথ, গ্রসিদ্ধ পাঠক রত্নগৰ্ভাচার্য্য, শ্ৰীচন্দ্রশেখর আচাৰ্য্যরত্ন, ইহার এই নবাবি আমলেই Wo பங் Q "শ্ৰীহট্ট দেশে অনাচার দুর্ভিক্ষ জন্মিল । ডাকা চুরি অনাবৃষ্টি মড়ক পড়িল । উচ্ছিন্ন হইল দেশ অরিষ্ট দেখিয়া । নানা দেশে সৰ্ব্বলোক গেল পলাইয় ।” কবি জয়ানন্দ কৃত চৈতন্যমঙ্গল।