পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ゲ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ २ध्र खl: २वर्थ: বলিয়া সেই স্থানের নাম উচাইল রাখা হয়, অধুনা তাহাই উচাইল পরগণা বলিয়া খ্যাত। এই স্থানে উপস্থিত হইলে তাহার রাজার পলায়ন বাৰ্ত্ত জানিতে পারিয়া সগৰ্ব্বে রাজধানী প্রবিষ্ট হন ও সসৈন্যে তথায় বাস করেন। কিন্তু তত্ৰত্য জলবায়ু পাঠান সৈনিকদের পক্ষে বিষতৃল্য হইল, বহুতর সৈন্য রোগে প্রাণত্যাগ করিতে লাগিল, তখন বিচক্ষণ সেনানায়ক তৎক্ষণাৎ সেই বিষবৎ স্থান পরিত্যাগ করিলেন ও সসৈন্যে ইহার প্রায় কুড়ি মাইল দূরবর্তী এক স্বাস্থ্যকর স্থানে চলিয়া গেলেন। লস্কর বা সৈন্যের অবস্থানের জন্য ঐ স্থান লস্কর-পুর নামে খ্যাত হয়। বিষবৎ প্রাণনাশক সেই অস্বাস্থ্যকর ও পরিত্যক্ত রাজধানী তদবধি বিষগ্রাম বা বিষগাও নাম প্রাপ্ত হয় । সে যাহাহউক, এই বিজয় সংবাদ যথাকলে দিল্লী নগরে পৌছিলে, সম্রাট আলাউদ্দীন ফিরোজশাহ সস্তুষ্ট হইয়া সেনাপতি নসিরউদ্দীনকে তরফ রাজ্যের শাসন কর্তৃত্ব প্রদান করেন। ঐ স্থানের নাম তৎপূৰ্ব্বে তরফ ছিল না। আঠার মুড়ার রাজপুর বিজিগীযু দ্বাদশ আউলিয়ার আগমন সময়ে শাহগাজী আচাক নারায়ণের রাজ্যের প্রতি অঙ্গলি-নির্দেশ ক্রমে বলিয়াছিলেন, “ইস্ তরফ যাওগে।” ইহাতেই ঐ দেশ তরফ নামে খ্যাত হয় বলিয়া কথিত আছে। তরফ তখন একটি বিস্তৃত রাজ্য ছিল ; সরাইল—সতর খণ্ডল ও জোয়ানশাহী প্রভৃতি পরগণা তখন তরফের সামিল ছিল। এই বিস্তৃত ভূখণ্ডের প্রথম মোসলমান শাসনকৰ্ত্ত সৈয়দ নসিরউদ্দীন সিপা-ই-সালার। তরফ জয়ের কয়েক বর্ষ পরে তিনি তোগলক বংশীয় শেষ নৃপতি মহমুদ শাহের সময়ে ১৩৯৫ খৃষ্টাব্দে এক সনন্দ প্রাপ্ত হন, সেই সনন্দের বলেই তাহার রাজ্যসীমা বিশেষ বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। নসিরউদ্দীনের সহিত যে দ্বাদশ আউলিয়া তরফে আগমন করেন ; তাহদের স্বাদশ আউলিয়ার প্রভাবে তরফ বিজিত হওয়ায়, মোসলমান সমাজে নগ। উহ “বার আউলিয়ার মুলুক” বলিয়া খ্যাত হইয়াছিল। তরফে মোসলমান আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হইলে, এই বার আউলিয়৷