পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-S e २ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত। ২য় ভাঃ ২য় খঃ খোদাবন্দের পাঁচ পুত্র ; তৃন্মধ্যে সৈয়দ শাহ ইস্রাইল অতি বিদ্বান ছিলেন ; “মুলক-উল-উলাম।” বিদ্যাবত্তার জন্য তিনি “মুল্ক উল-উলাম।” উপাধি লাভ করিয়াছিলেন। সুপ্রাঞ্জল পারস্য ভাষায় তিনি ৯৪১ হিজরীতে (খৃঃ ১৫২৩) “মদানেল ফওয়ায়েদ” নামক গ্রন্থ রচনা করেন।* শ্ৰীহট্টবাসী গ্রন্থকার কর্তৃক তৎপূৰ্ব্বে পারস্য ভাষায় অন্য কোন গ্রন্থ রচিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায় নাই। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে খোদাবন্দ এই পুত্ররত্নকে রাজ্য প্রদান করেন, কিন্তু তিনি বিষয়-ভোগ অপেক্ষা বিদ্যাচর্চা ও ধৰ্ম্মালোচনাই সমধিক ভাল বাসিতেন । র্তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতৃদ্বয়ও অতি ধৰ্ম্মপরায়ণ ছিলেন, এই তিন ভ্রাতা “আউলিয়া" হওয়ায়, চতুর্থ সৈয়দ মিকায়েল প্রকৃত পক্ষে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হন। এই জন্যই কনিষ্ঠ হইলেও, সাধারণ প্রজার কাছে তিনি “বড়মিয়" উপনাম প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এইরূপে জ্যেষ্ঠাতুত্রমিক সম্পত্তি কনিষ্ঠ বংশগত ণ হয়। মিকায়েলের চারি পুত্র,—নাজির খা, আব্বাস বা দরওয়া খা, মুস, মিনা বা বেজোড়ায় স্বলতান। সৈয়দ আব্বাস একজন প্রকৃত বীরপুরুষ ভাতৃ হত্যা । ছিলেন ; তিনি স্বগুণে দিল্লীতে পরিচিত ও খ্যাতিমান হন এবং তত্ৰত্য জনৈক ওমরাহতনয়ার পাণিগ্রহণ করিতে সক্ষম হন। তিনি রাজপ্রসাদ স্বরূপ সম্রাট হইতে শ্ৰীহট্টে প্রচুর ভূসম্পত্তি লাভ করিয়া দেশে আগমন করেন। পূৰ্ব্বেই তাহার আগমন বার্তা দেশে প্রচারিত হইলে, র্তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা নাজির খা ঈর্ষা পরবশ হইয়া, তাহাকে বিনাশ করিতে কৃতসংকল্প হইলেন ; এবং বাড়ী পৌছার পূৰ্ব্বেই পথিমধ্যে র্তাহাকে হাঠং আক্রমণ করিয়া হত্যা করিলেন। এই ব্যাপারে ওমরাহতনয়া অতিশয় মৰ্ম্মপীড়িত হইলেন, তিনি আর স্বামী গৃহে গেলেন না ; তথা হইতেই পুনঃ দিল্লীতে প্রত্যাগমন করিলেন। যে

  • এই গ্রন্থখান তরফ—পৈল নিবাসী শ্ৰীযুত সৈয়দ এমদাদ-উল-হক সাহেব মহাশয়ের নিকট আছে। তিনি উহা মুদ্রিত করিতে ইচ্ছা করিয়াছেন। তরফের বিবরণ সংগ্ৰহ বিষয়ে এই সদাশয় সৈয়দ সাহেব আমাদিগকে প্রচুর সহায়তা করিয়াছেন।

এই প্রাচীন বংশাবলী থ-পরিশিষ্টে দ্রষ্টব্য। ( ২য় ভা; ২য় থ: )