পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S e 9 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। ' [২য় ভা: ২য় খঃ কারীর মুক্তিদান করিয়া স্বীয় উদারতা প্রদর্শন করেন। এই উত্তরাধীকারীই মুসা তনয় সৈয়দ আদম । মুসা পিতৃত্যক্ত সম্পত্তির অধিকার লাভ করিলে, তাহার ভ্রাত মিন সুলতান-শি। ক্ষুব্ধ হইয়া তযুদ্ধারের জন্য দিল্লী গমন করেন। বহুদিন দিল্লী অবস্থিতি করিয়া বিবিধ কৌশলজাল বিস্তার ক্রমে তিনি কয়েকজন প্রধান আমীরকে স্বপক্ষে আনয়ন করিতে সমর্থ হন । র্তাহীদের সাহায্যে তিনি সম্রাটকে জানাইলেন যে, মূসা অপুত্রকাবস্থায় প্রাণত্যাগ করিয়াছেন, তিনিই তরফ রাজ্যের প্রকৃত উত্তরাধিকারী। এইরূপে মিনা প্রবঞ্চনা ক্রমে দিল্লী-দরবার হইতে রাজ্যাধিকারের এক সনন্দ প্রাপ্ত হন। মিনার রাজ্য লালসায় তরফের স্বাধীনতা এইরূপে সঙ্কোচিত করিয়া ফেলে। ইহার পূৰ্ব্বে যদিও তাহারা সম্রাটের অধীনতা স্বীকার করিয়া চলিতেন, তথাপি রাজ্যের উত্তরাধীকারী নিয়োগ সময়ে কদাপি কাহারও অনুমতির অপেক্ষা করিতেন না, এ বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিলেন। মিন ওরফে স্কুলতান দিল্লী হইতে প্রত্যাগমন পূর্বক আর পৈতৃক বাসভবনে গমন করেন নাই ; তথা হইতে তিন মাইল দূরে এক নূতন আবাস বাট নিৰ্ম্মাণ করিয়া তথায় বাস করেন। স্থলতান দত্ত বলিয়াই হউক, কি তাহার ‘মুলতান’ নাম হইতেই হউক, উক্ত স্থান তদবধি “সুলতান-শি” নামে পরিচিত হয়। দিল্লী হইতে আগমনের পর মিনা ছয় বৎসর জীবিত ছিলেন। এই সময় আরাকান-পতি আরাকানের মগরাজের সহিত তাহায় পরিচয় সহ পরিচয় । হওয়ায়, মগরাজ তাহাকে এক মূল্যবান তরবারি উপহার দেন। সৈয়দ মুসাও আরাকান পতির পরিচিত হইয়াছিলেন। আরাকান পতির সহিত ইহণদের বিশেষ আত্মীয়তা জন্মিয়াছিল ; ইহার প্রায়ই আরাকান রাজসভায় যাইতেন । আরাকানের মন্ত্রী মাগণ ঠাকুর কাব্যজিাদী ছিলেন, তাহার উৎসাহে মোসলমান বঙ্গীয় কবি আলাওল সাহেব “পদ্মাবতী” নামক কাব্য রচনা করিয়াছিলেন ; এই গ্রন্থ ১৬২৭ খৃষ্টাব্দে (হিঃ ১০৪৫ ) রচিত হয়। এই কবি সৈয়দ মুসার উপরোধে “সয়ফল মুলুক ও বদিউজ্জমাল” নামক পারস্য