পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৪ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ २ग्न छां: २ग्न श्रृं: ko মুসারজার মদনরজা ও আলীরজা নামে দুই পুত্র হয় ; এবং তাহার ভ্রাতা মোহাম্মদ রজার আহমদ রজা, হামিদ রজী প্রভৃতি চারি পুত্র ছিলেন। নয় আনির অংশে এই ছয় ব্যক্তিই উত্তরাধিকারী ছিলেন । ইহণদের মধ্যে আহমদ রজ ও হামিদ রজা অত্যন্ত দুৰ্দ্ধৰ্ষ ছিলেন, তাহদের প্রতাপে নিকটবৰ্ত্তী জমিদারগণ কম্পিত কলেবর হইতেন । হামিদ রজা লেখাপড়া জানিতেন না, অন্যান্ত সকলেই পারস্য ভাষায় শিক্ষিত ছিলেন, বিশেষতঃ আলী রজার হস্তাক্ষর অতি মনোহর ছিল । , 矚 সাত আনির অংশাধিকারী সৈয়দ নাজিরের মোহাম্মদ বাতির ও মোহাম্মদ নাতির নামে দুই পুত্র হইয়াছিল। ষষ্ঠ অধ্যায়-তরফের অবশিষ্ট কথা । তরফের রামত্রবাসী সৈয়দগণ ভিন্ন বংশীয় হইলেও ইহণদেরও দেশে রামশ্রীর যথেষ্ঠ সম্মান আছে। সৈয়দ সিরাজউদ্দীন নামক খোন্দকারদের জনৈক সাধু তরফ হইতে উচাইলে গমন বিবরণ। করতঃ তথায় বিবাহ করেন ও কতক ভূসম্পত্তি । লাভ করেন ; ইহার বংশে মোতিওর রহমান খোন্দকারের জন্ম হয়। মোতিওর রহমান অতি বিদ্বান ও বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিলেন। তাহার গুণে ত্রিপুরেশ্বর মোহিত ছিলেন ও তাহকে অত্যন্ত ভাল বাসিতেন। তরফের সাত আনির জমিদার মোহাম্মদ ৰাতির ও নাতির তাহার উপরে কতক দিন জমিদারির সম্পূর্ণ কর্তৃত্বভার ন্যস্ত করিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন। তাঁহার গুণগ্রামে সকলেই মুগ্ধ ছিলেন, মুর্শিদাবাদ হইতে লম্বরেই তাঁহার উপর রাজকীয় তহশীল কার্ঘ্যের ভার অর্পিত হয়। এই পদ লাভ করিলে তাহাকে সাত জানির কৰ্ম্ম ত্যাগ করিতে হইয়াছিল। তখন রাজকীয় তহশীল কাৰ্য্যালয় তরফেই ছিল, এবং তঁহাকে তরফেই থাকিতে হইত।