পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

கம் ৬ষ্ঠ অধ্যায় । ] তরফের অবশিষ্ট কথা । >> & -* கம் ജ് তরফের জমিদারের সহিত র্তাহার বিশেষ সম্বন্ধ ছিল, এই জন্যই রামন্ত্রর খোন্দকারদের কথা এ স্থলেই লিপিবদ্ধ হইল। 剌 মোতিওর রহমানের তিন পুত্র ; জ্যেষ্ঠ তেতিওর রহমান পিতার সঙ্গে তরফেই থাকিতেন। মধ্যম রিয়াজুর রহমান ১০ জলুস ১৭ই শফর তারিখে (সম্রাট শাহ আলম দ্বিতীয়ের রাজত্বের দশম বর্ষে—১৭৭০ খৃষ্টাকে ) বলিশিরার চৌধুরাই প্রাপ্ত হন, এবং কনিষ্ঠ নেয়াজুর রহমান তত্রত্য কানুনগো নিযুক্ত হন। ফলতঃ বিদ্যাগৌরবে ইহারা সকলেই খ্যাতনাম হইয়াছিলেন। ইহারা বিনীত ও মিষ্টভাষী ছিলেন এবং অচিরাং প্রভূত ধন উপার্জন ক্রমে বলিশিরা, বামৈ ও বেজোড়া প্রভৃতি স্থানে বিস্তৃত জমিদারী অর্জন করেন। so মোতিওর রহমানের নামানুসারে বালিশিরার মোতিগঞ্জের বাজার স্থাপিত হয় ; রিয়াজুর রহমানের নামে রিয়াজপুর পরগণা ও রিয়াজনগরের নামকরণ হয়। কনিষ্ঠ নেয়াজুর রহমানের নামানুক্রমে নেয়াজপুরের নাম হয়। তদ্ব্যতীত বালিশিরার ২নং এবং উচাইলের ১নং তালুক মোতিওর রহমানের নাম ঘোষণা করিতেছে। রিয়াজুর রহমানের নামে বালিশিরার ৩নং এবং গদাহাসন নগরের ৩০নং, ৩১নং তালুকের নামকরণ হইয়াছে। সে যাহা হউক, লস্করপুরের জমিদার পূৰ্ব্বোক্ত মদনরজার বৈমাত্র তরফে গৃহ-বিবাদ ভ্রাতা আলীরজার মাতা মোগল বংশীয় ও মোতিওর রহমান । ছিলেন বলিয়া, আলীরজ জাতিগণের নিকট নিন্দিত ও ঘূণাস্পদ ছিলেন ; আলীরজ এই কারণে ভ্রাতৃবর্গ কর্তৃক পৈতৃক সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত ও বিতাড়িত হন। আলীরজা সহায় সম্পদ হীন হইয়া খোন্দকার মোতিওর রহমানের শরণাপন্ন হন। মোতিওর রহমান জাপ্রিতকে পরিত্যাগ করিলেন না ; তিনি আলী রজার পক্ষাবলম্বন করিয়া মদন রজ প্রভৃতি সকলেরই বিরাগ ভাজন হইলেন। যে আহমদ রজার বিরাট ৰপু ও নিকট বদন দর্শনে লোক ভয়ে বিকম্পিত হইত, যিনি অসামান্য দৈহিক বলে অত্যুচ্চ প্রাচীৰ সলম্ফে উলঙ্ঘন করিতে পারিতেন, র্যাহার প্রজপে স্বলতানশি, জোয়ান