পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাকৃতিক বিবরণ ] শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত । > * কণর অধিবাসী কয়েকটি ব্রাহ্মণ সদাচার সম্পন্ন না থাকায় যথেচ্ছাচারে শিবপূজা করিতেন। একটি নীচ জাতীয় দাসী অশুচি ভাবে পুষ্পচয়ন করিত ; কিন্তু একজন ব্রাহ্মণ এই সকল ব্যবহারে অস্তরে ব্যথা পাইতেন ও শুদ্ধ ভাবে শিবপূজা করিতেন। অবশেষে যখন তাহাদের পাপের ভর পূর্ণ হইল, তখন একদা সেই শুদ্ধাচার ব্রাহ্মণকে স্থানান্তরে পলাইয়া যাইতে দৈবাদেশ হইল। এ দিকে হঠাৎ দৈব উৎপাত উপস্থিত হইল, এক সঙ্গে ঝড় ও ভূকম্প ভীমবেগে প্রলয় কাণ্ড উপস্থিত করিল, দেখিতে দেখিতে সেই স্থান অদৃগু হইয়া গেল। প্রবাদানুসারে সেই স্থানেই হাকালুকি হাওর হইয়াছে। * ডেকার হাওর সম্বন্ধেও একটা গল্প প্রচলিত আছে, এ গল্পটি আরও অলৌকিক। প্রবাদ এই –বরণীযোড়া পাহাড়ের নিকডেকার হাওর টস্থ হিন্দুরাজার দীঘী হইতে এক স্বর্ণকাস্তি বৃষ উখিত সম্বন্ধে গল্প | হইত ও নিকটস্থ সুন্দরনাথ নামক ব্যক্তির পালিত একটা বৃষের সহিত যুদ্ধ করিত একদা সুন্দরনাথের বৃষের শৃঙ্গাঘাতে আতিবাহিক বা দৈব দেহধারী সেই বৃষ পরাজিত হয় ও দশহাল গ্রামের পশ্চিমদিকে মৃতের ন্যায় পড়িয়া রহে। তদবধি আর তাহাকে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইতে দেখা যায় নাই। অল্পবয়স্ক বৃষকে এতদঞ্চলে ‘ডেকা বলে ; দুইটী ডেকার যুদ্ধ হইতে এই হাওরের নাম ডেকার হাওর হইয়াছে । শ্ৰীহট্টে প্রকৃত হ্রদ নাই। নবিগঞ্জের নিকটস্থ “অমৃত কুণ্ড” শ্ৰীহট্ট জিলায় প্রকৃত হ্রদপদবাচ্য হইতে পারে। অমৃতকুণ্ডের জল অতি হ্রদ। পরিষ্কার, চতুর্দিকের যে সকল লোকে তাহ পান করে, তাহাদের ওলাউঠা প্রভৃতি ব্যাধি প্রায়ই হয় না। ইহা

  • হাইল হাওর সম্বন্ধেও তদনুরূপ গল্প শুনা যায়। এৰং পলায়িত ব্ৰাহ্মণই ছত্রবটের চৌধুরীদিগের আদি পুরুষ বলিয়া উক্ত হন।

হাকালুকি (খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীর) বৈদিক তাম্রফলকোত্ত "হাঙ্কলা কৌকিকাং পুরাং” দ্বারা নির্দেশিত ভূভাগ। তখন বোধ হয়, উহা জনপদ ছিল। ভূকম্পাদিতে ধে উচ্চ নীচ হয়, তাহার প্রমাণ ১৩০৪ সালেই পাওয়া গিয়াছে। Q