পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१भ श्रश्वांश्च ।। ] ইটার রাজা । y\9\ס সপ্তম অধ্যায়—ইটার রাজা । শ্ৰীহট্টের ইট অঞ্চলে পূৰ্ব্বে ত্রিপুরাধিপতির যথেষ্ট প্রভাব ছিল, পরে পূৰ্ব্বকথা। ইটা গৌড়ের অধীন হয়। প্রথম খণ্ডে আমরা নিধিপতির আগমন বিবরণ বর্ণন করিয়াছি। নিধিপতি ইটায় এক ক্ষুদ্র রাজ্যের পত্তন করিয়া, “ভূমিউড়-এত্তলাতলি” গ্রামে নিজ রাজধানী স্থাপন করেন এবং অল্পকাল মধ্যে সুবৃহৎ দীর্ঘিকাদি খনম করাইয়া সে স্থানকে স্থশোভিত করিয়া তুলেন। নিধিপতির “সপ্তপার দীর্ঘী” ও “নিধিপতির খামার” নামে বিস্তৃত কৃষিক্ষেত্রের ধ্বংশাবশেষ এখনও তথায় বর্তমান আছে। নিধিপতিরঞ্চ পুত্র ভূধর ও পৌত্র কন্দপাদি কি ভাবে দেশ শাসন করিতেন, জানা যায় না। কন্দপের পুত্র বৃহস্পতি, তৎপুত্র লক্ষ্মীনাথ, তাহার পুত্র দেবচন্দ্র ; দেবচন্দ্রের ভাস্কর, পুষ্কর ও প্রভাকর নামে তিন পুত্র হয়। তন্মধ্যে ভাস্করের পুত্র কেশব, কেশব হইতে কামদেবের উদ্ভব, কামদেবের পুত্র মহাদেব। মহাদেব স্থানান্তরে গমন করেন, তাহার বাসস্থান “মহাদেবী বড়কাপন” নামে খ্যাত। তত্ৰত্য শিকদারেরা তদ্বংশোদ্ভব । প্রভাকরের পুত্রের নাম শুভরাজ ও শ্ৰীকৃষ্ণ। শুভরাজ পারস্ত ভাষায় ব্যুৎপন্ন ও গুণসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন ; তিনি দীর্ঘিকা প্রস্তুত প্রভৃতি অনেক জন-হতকর কার্য্য করিয়া, নিজ গুণে দিল্লী হইতে “খান” উপাধি প্রাপ্ত হন। তিনি ইটার পঞ্চগ্রামের ( পাচগাও ) দক্ষিণে ও এওলাতলির পূৰ্ব্ব দিকে এক বাট প্রস্তুত করেন, এখন সেস্থান “রাজখলা বলিয়া পরিচিত এবং তথাকার তৎপ্রতিষ্ঠিত দীর্ঘিকা শুভরাজ বা “স্বরাজ খারদীঘী” নামে আখ্যাত হইয়াছে।

  • ঘ—পরিশিষ্ট্রে ( ২য় ভাঃ ২য় খ: ) বংশ-পত্র দেখ। নিধিপতি হইতে বর্তমান কাল পর্য্যস্ত তত্ত্বংশে ২৩ ২৪ পুরুষ চলিতেছে। এই ২৪ পুরুষ সহ পূৰ্ব্বগামী ১৫ পুরুষের যোগ করিলে ৩৯ পুরুষ হয়। পরাশর গোত্রীয় ও অন্যান্য গোত্রীয় সাম্প্রদায়িকদের আগমন কাল হইতে বর্তমান সময় পৰ্য্যস্ত প্রত্যেক বংশে ঈষৎ মূনাধিক এরূপ পুরুষ সংখ্যা সমম্বিত বংশ তালিকা আমরা প্রাপ্ত হইয়াছি।