পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९० ভৌগোলিক বৃত্তাস্ত । [ •श खेiः २झ स्थॆः । কাতারিয়া, আমনবাদাল জন্মে। জল বৃদ্ধির সহিত ধান্তের চারাও বৃদ্ধি পাইতে থাকে। কোন কোন স্থলে ১৫২০ হাত পর্য্যন্ত বাড়িয়া থাকে। যে নিয়ভূমিতে হেমন্ত কালেও কিছু কিছু জল থাকে, তথায় “শাইলবোর” জন্মিয় থাকে। এ ধান্ত পৌষ মাসে রোপণ করতঃ চৈত্র বৈশাখ মাসে কাটিয়া থাকে। সুনামগঞ্জে ও হবিগঞ্জেই ইহা অধিক রূপে জন্মিয়া থাকে । বিরণী ধান্য অনতি উচ্চভূমে জন্মে। বিরণী কেবল পিষ্টকান্ন প্রস্তুত জন্যই ব্যবহৃত হয়। ধান্ত ব্যতীত সর্ষপ, তিসি, মূলাবীজ, তিল, কলাই, মুগ, প্রভূতি রবিশস্ত মধ্যে প্রধান ও প্রায় সৰ্ব্বত্রই জন্মে । ইক্ষুর চাষও মন্দ হয় না, করিমগঞ্জ সবডিভিশনের দক্ষিণে, দক্ষিণ শ্ৰীহট্টে এবং হবিগঞ্জে প্রধানতঃ ইক্ষুর চাষ হয় । খাগড়া, ধল ও বোম্বাই এই তিন জাতীয় ইক্ষু সচরাচর চাষ করা হয় ।* শণ নদীতীরেই সামান্তরূপ উৎপন্ন হয়, ইহার স্বত্র শণ ও পাট । সুদৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী। শণস্বত্র জাল প্রস্তত কাৰ্য্যেই ব্যয়িত হইয়া যায়। খ্রীহট জিনায় পাটের চাষ ক্রমশঃ বৰ্দ্ধিত হইতেছে। উত্তর শ্রীহট্ট, হবিগঞ্জ ও দক্ষিণ শ্ৰীহট্টে এবং কুশিয়ারা ও মন্ত্রতীরেই ইহার চাষ অধিক হইয়া থাকে। ১৯০৩-৪ খৃষ্টাব্দে প্রায় ৩০০০ একর ভূমিতে পাটের চাষ হইয়াছিল । তামাক—তামাক তরফ পরগণায় এবং অন্যান্য স্থানেও কিয়ৎ পরিমাণে উৎপন্ন হইয়া থাকে । ब्रदि *श ७ ३कू । (यल मूल ।) শ্ৰীহট্টের কমলা অতি বিখ্যাত। এরূপ মিষ্ট রসাত্মক কমলা ভারতবর্ষের

  • ১৯• • — ১ খৃঃ হইতে ১৯০৩—৪ খৃঃ পৰ্য্যস্ত চারি বৎসরে ধান্তাদি চাষের কিরূপ হ্রাস বৃদ্ধি হইয়াছে, নিয়ে তাহা প্রদর্শিত করা হইল