পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२४ ভৌগোলিক বৃত্তাস্ত । ১ম ভাঃ ২য় জঃ — করিয়া থাকে। কুসুম্বের বীজে তৈল হয় ও ফুলে কাপড়ে গোলাপি রং হয়। কুমুম্বের তৈল ঔষধে ব্যবহার্য্য। বৃক্ষাদি । শ্ৰীহট্টের বিস্তৃত জঙ্গল অকৰ্ম্মণ্য নহে। জঙ্গলগুলি আয়ের এক পন্থা বিশেষ। গবর্ণমেণ্ট এই জঙ্গল হইতে প্রতিবর্ষে অনেক টাকা রাজস্ব আদায় করেন। প্রতাপগড় পরগণায় গবর্ণমেন্ট রক্ষিত ১০৩ বর্গমাইল জঙ্গলভূমি আছে, ইহার নাম "রিজার্ভ ফরেষ্ট” । এতদ্ব্যতী ১৭৭ বর্গ মাইল আনক্লাশষ্ট ফরেষ্ট, আছে — ইহার পরিমাণ জয়ন্তীয়া পরগানায় অধিক । গবর্ণমেণ্টের বনকর সম্বন্ধে ১৯০৪ খৃষ্টাব্দে প্রায় সপ্ততি সহঅ টাকা অায় হইয়াছিল। শ্ৰীহট্টের কাষ্ঠের কারবার আধুনিক নহে, আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে দৃষ্ট হয় যে, মোগল সম্রাট আকবরের সময়েও শ্ৰীহট্ট হইতে প্রচুর কাষ্ঠ ব্যবসায়ি গণ লইয়া যাইত। ." শ্ৰীহট্ট ( সদর ), করিমগঞ্জ, ভাঙ্গা পাথারকান্দি, মৌলবী বাজার, | হবিগঞ্জ, লাখাই, আজমীরগঞ্জ কাষ্ঠকারবারের প্রধান স্থান। নিম্নলিখিত বৃক্ষের কাষ্ঠ বিবিধ কার্য্যে ব্যবহৃত হয় ও প্রতিবৎসরেই প্রচুর পরিমাণে পাহাড় হইতে নামাইয়া আনা হয়। চাম ও আম ( বন্য), রাতা ও কুর্ত, পীং ও পোংতা, শিমইল ও জারইল, গন্ধরই ও সুতরং, পুমা ও তুলা, কদম ও ফরিস, কাওয়া ঠোটি ও কাইমূলা, মুদি ও বনাক প্রভৃতি। তদ্ভিন্ন নাগেশ্বর ও গাম্বারি, কাটাল ও পালান প্রভৃতিও নানা কার্য্যে লাগে । জারইল বৃক্ষ একত্র অনেকটা বহুস্থান ব্যাপ্ত করিয়া উৎপন্ন হয় ; গাছ গুলি যখম গোলাপি রঙ্গের কুসুমে সুশোভিত হয়, তখন বনস্থল অতি শোভনীয় দৃপ্ত ধারণ করে । জারইল পুমা প্রভৃতিতে নৌকা প্রস্তুত হয় । চাম, কাটাল জাতীয় বৃহৎ বন্ত বৃক্ষ। চাম, কাটাল, সুন্দি, গন্ধরই প্রভৃতিতে উৎকৃষ্ট তক্ত হয়। চৌকি, খাট, আলমায়রা, সিন্দুক, টেবিল, ब्रकि७ छत्र ठा আবশ্যকীয় বৃক্ষ