পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ ২য় ভাঃ ৪ৰ্থ খঃ পদার্পণ করিয়া শ্রত হইলেন যে, জয়ন্তীয়াপতি প্রচার করিয়াছেন,—‘বিজয়মাণিক্য ভয়াতুর হইয়া আমাকে একটি হস্তী উপঢৌকন প্রদান করিয়াছেন, এই কাব্য শ্রবণমাত্র জয়ন্তীয়াপতিকে ধৃত করিয়া আনিবার জন্য তিনি বৃহৎ একদল সৈন্য প্রেরণ করিলেন। জয়ন্তীয়ারাজ ত্রৈপুর সৈন্যের আগমনবাৰ্ত্ত। শ্রবণে ভয়ে কাতর হইয়া রাজধানী পরিত্যাগ করেন, এবং হৈড়ম্বপতির দ্বারা ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া ত্রিপুরেশ্বরের নিকট পত্র পাঠাইলে, মহারাজ বিজয়মাণিক্য জয়ন্তীয়াপতিকে ক্ষমা করিয়া ত্রৈপুরসৈন্যের প্রত্যাবর্তনের আদেশ প্রেরণ করিয়াছিলেন” । ইহার পর উভয় বিজয়ের মৈত্রীভঙ্গের কোন কারণ উপস্থিত হয় নাই এবং বিজয়মাণিক নিরুদ্বেগেই জয়ন্তীয় শাসন করিতেছিলেন ; কিন্তু অবশেষে এক বিষম অনর্থ উপস্থিত হয় । কামরূপের কোচবংশীয় রাজা নরনারায়ণের রাজত্বকাল ১৫৩৪ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫৮৫ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত । তিনি অতি প্রতাপশালী নৃপতি ছিলেন। নরনারায়ণের ভ্রাতা যুদ্ধবিদ্যা-বিশারদ শুক্লধ্বজ ( চিলারায় ) তদীয় সেনাপতি ছিলেন । চিলারায়ের বাহুবলে নরনারায়ণের নরনারায়ণের * p ..... রাজ্যসীমা বহুবিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছিল। পূৰ্ব্ববিভাগে তিনি কাছাড় ও মণিপুর জয় করণান্তর নিজ বিজয়বাহিনী জয়ন্তীয়া-পতির বিরুদ্ধে চালিত করেন। বিজয় মাণিক ঝটিতি সসৈন্তে চিলারায়ের গতিরোধ করিয়া দণ্ডায়মান হইলে, উভয়পক্ষে ঘোরতর সংগ্রাম উপস্থিত হয় ; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ বিজয় মাণিক হঠাৎ নিহত হওয়ায় চিলারায়েরই জয় হইল। এই বিজয়বাৰ্ত্তা প্রাপ্তে নরনারায়ণ, বিজয়মাণিকের পুত্র প্রতাপরায়কে করদ রাজারূপে জয়ন্তীয়ার সিংহাসন প্রদান করেন। রাজা প্রতাপ রায় সিংহাসনারোহণ করিলেন বটে, কিন্তু কোচ নৃপতির অমুজ্ঞায় নিজনামে মুদ্র প্রচারের অধিকার হইতে বঞ্চিত হইলেন। জয়ন্তীয় কৈলাসচন্দ্র সিংহ প্রণীত ত্রিপুরার ইতিহাস ২য় ভাঃ ৪ৰ্থ অঃ ৫৯ পৃষ্ঠা। আসামের ইতিহাস প্রণেতা গেইট সাহেব নিজ ইতিহাসেও এই বিষয়ের অভাসমাত্র উল্লেখ করিয়াছেন। • “চিলারায় জয়ন্তীয় রাজ্য আক্রমণ করি তার রজাক নিজ হাতেরে বধ করে, নর মারায়ণে সেই রজার পুতেকক পিতৃ-সিংহাসন ত বহাই তেওঁক করতলীয় রজা পাতিলে।" ঐযুক্ত পয়মাখ বরুয়া কৃত “আসামর বুরী" &ম অঃ ২৮ খৃঃ।