পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়—আহোমবিজয়। পূৰ্ব্বাধ্যায়ে বর্ণিত ছোট পৰ্ব্বতরায়ের মৃত্যুর পরে তদীয় উত্তরাধিকারী যশোমন্তরায় ১৬৪৭ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনারোহণ করেন। আহোমদের অধিপতি নরিয়া রাজা (মুতিন ফা) ১৬৪৭ খৃষ্টাব্দে (রাজ্যাধিকারের পরেই) তৎসন্নিধানে দূত প্রেরণ পূর্বক তৎসহ মিত্রত স্থাপন করেন। দুঃখের বিষয় রাজনৈতিক মৈত্রী অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হইতে পারে না। একটা আহোমপ্রজা জয়ন্তীয়ায় বাণিজ্যের অনুমতি প্রাপ্ত হইয়াছিল। সে জয়ন্তীয় রাজ্যে প্রবেশ করিলে,—কি কারণে বলা যায় না, ধৃত ও বন্দীকৃত হয় এবং তাহার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। নরিয়া রাজা এই সংবাদ জানিতে পারিয়া, রাজা যশোমন্তরায়কে ইহা জানাইলে, যদিও সে ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়া দেওয়া হইয়াছিল, কিন্তু তাহার সম্পত্তি প্রত্যপণ করা যায় নাই। এই ঘটনায় উভয়রাজ্যে বিবাদের স্বত্রপাত হয়, উভয়রাজ্যের পাৰ্ব্বত্য পথ গুলি বন্ধ করা হয়, এবং জয়ন্তীয়ার কতিপয় ব্যবসায়ীকে যুবরাজ জয়ধ্বজ ( সুতামূল) স্কৃত করতঃ কারারুদ্ধ করেন। এই বিরোধ আট বৎসর কাল চলিয়াছিল ; তৎপর উভয় রাজ্যে পুনরায় মৈত্রী স্থাপিত হয়। ১৬৫৮ খৃষ্টাব্দে রাজা যশোমস্তের পৌত্র প্রথমরায় বিদ্রোহ উত্থাপন করেন ; কিন্তু তাহাতে কিছুই হয় নাই। ইহার দুই বৎসর পরে তাহার মৃত্যু হয়। যশোমন্তরায়ের মৃত্যুর পর বাণসিংহ ( ১৬৬০ খৃষ্টাব্দে ) রাজা হন। ১৬৬৩ খৃষ্টাব্দে যখন আহোম নৃপতি চক্ৰধ্বজ (সুপাং মাং) সিংহাসনারোহণ করেন, यांशंजिरह ७ সেই উৎসবে নিমন্ত্রিত হইয়া বাণসিংহ তৎসহ সাক্ষাৎ নগল। করিয়াছিলেন। জয়ন্তীয়ায় প্রাচীনকাল হইতে মুদ্র প্রস্তুত হইত, কোচরাজ নরনারায়ণের অনুজ্ঞানুসারে জয়ন্তীমুদ্রাতে রাজগণের নাম মুদ্রণের প্রথা রহিত হয়, বলা গিয়াছে। জয়ন্তীয়ারাজ বাণসিংহের রাজত্বকালের ষে একটা মুদ্রা পাওয়া গিয়াছে, তাহাই ইহার প্রমাণ। t যশোমন্ত রায়।