পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় অধ্যায় । ] আহোম বিজয় । 33 দুর্ভাগ্যবশতঃ এই সময় রামসিংহ আমাশয়ে গুরুতররূপে আক্রাস্ত হইলেন ; শুশ্রষার কোন ক্রট হইল না, কিন্তু তাহার বিশ্বাসঘাতকতা পাপের প্রায়শ্চিত্ত কাল উপস্থিত হইয়াছিল, সেই আমাশয়ই র্তাহাকে আহোমরাজ্যের হস্ত হইতে উদ্ধার করির সকল জ্বালা নিবৃত্ত করিয়া দিল। ( ১৭০৮ খৃষ্টাব্দ।) ( রাজনৈতিক চিঠি ) আহোমরাজের এই বিজয়-গৌরবে তদীয় অধীন কাৰ্য্যকারকবৃন্দ বিশেষ ম্পৰ্দ্ধিত হইয়া উঠিয়াছিল। এই সময় শ্রীহট্টের “থানাদার” ( ফৌজদার ) সহ আসামাধিপতির “গুরুহাটি” (গৌহাটী) স্থিত প্রতিনিধি বড়ফুকনের প্রীতিপত্রের আদান প্রদান চলিয়াছিল, তাহাতে এই বিজয় স্পৰ্দ্ধার ফুৎকার আছে। উদাহরণ স্বরূপ দুখানা চিঠি উদ্ধৃত করা যাইতেছে। প্রথম পত্র খানা শ্ৰীহট্টের ফৌজদার প্রেরিত, দ্বিতীয় খান৷ তদুত্তর। পত্রের সহিত ফৌজদার কতকগুলি উপহারও পাঠাইয়াছিলেন। পত্র যথা ৪—— “স্বস্তি সৰ্ব্ব শাস্ত্রাভ্যাসাতি কুল দমন দলিত যশোরাশি বিরাজিতাশেষ বিবিধ গুণালঙ্কত স্বধৰ্ম্ম নিপুণ স্বকুল কমল প্রভাকর সুহৃজনদন কুমুদ সমুন্নেষণ নৃপবৃন্দার্চিত মহামহত্তর মহোগ্র প্রতাপেষু। প্রত্যেভিপ্তাদ কোয়ং বর্ণ নিচয়সমিহসাত্মৈকং তৎসভাবত মন্থবেদ মিহেতরং । পরঞ্চ সমাচার এহি । প্রীতি পত্র এথা আমি শুভক্ষণে পহছিল। যেরূপ নিমক হারাম জয়ন্ত ও কাছারীর কারণ লিখিলা সেরূপ হৈব। প্রাচীন আমার পিতা নবাব নাথুল খা চিরাজি (সিরাজি ) কোচবেহার ও রঙ্গামাটর মুবা আছিল, তাতে তোমার ঠাই অধিক প্রীতি আছিল। এখন পত্র পায় আমার অন্তঃকরণে অধিক প্রীতি উৎপন্ন হইল, পরম্পর প্রীতি প্রতিপালন উচিত। আপনি লিখিয়াছিল৷ বামনিয়ার র্থার যোগে রঙ্গণমাটী পথক্রমে ৬/নবাব সঙ্গে প্রীতি হইয়াছে। এবে ৬/কারণ এইক্রমে আগত অধিক প্রীতি হইবে । ৮অধিক প্রীতিতে অনেকরপ কাৰ্য্য হইবে । অল্পদিবস