পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Յ6 ঐহট্টের ইতিবৃত্ত। । [ २ब्र खांः 8र्थं धः জয়নারায়ণের মৃত্যুর (১৭৩১ খৃষ্টাঙ্গ ) পর বড় গোসাঞি (দ্বিতীয় ) সিংহাসনারোহণ করেন। এই সময়ের একটি সিকি মুদ্রা প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে ; তাহার সন্মুখদিকে “ঐত্রীরাজ) বড় গোসাঞি” বড় গোসাঞি g ( रिडीब्र) এবং বিপরীত দিকে “সিংহ বাহাদুরস্য—১৬৫৩” এইরূপ লিখিত আছে। সুতরাং ‘রাজা বড় গোসাঞি সিংহ বাহাদুরের’ সিংহাসনারোহণ কাল ১৭৩১ খৃষ্টাব্দের পরে হইতে পারে না। র্তাহার নামাঙ্কিত ১৬৯২ শকাব্দীয় একখানা তাম্রপত্র প্রাপ্ত হওয়৷ গিয়াছে। অতএব ১৭৩১ হইতে ১৭৭০ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত দীর্ঘ চল্লিশবর্ষ কাল ব্যাপিয়া তিনি রাজ্যশাসন করেন, ইহা নিঃসংশয়িতভাবে বলা যাইতে পারে । এইরূপ কথিত আছে যে, এক সময় বড় গোসাঞি এবং তাহার ভগ্নী গৌরী কুয়রীকে সামন্তরাজ খাইরামের “সিমৃ” ( অধিপতি ) স্থত করিয়া নিয়াছিলেন। অবশেষে চেরাপুঞ্জির সিমৃ অমরসিংহের প্রেরিত একব্যক্তির সহায়তায় তাহারা বিমুক্ত হন । এই কার্য্যের পুরস্কার স্বরূপ দুইখানা বৃহৎ গ্রাম তদীয় রাজ্যভুক্ত করিয়া দেওয়া হইয়াছিল। চেরারাজের বংশধরগণ স্থলপ্রদেশে, জাঙ্গাজোর ও ফতেপুর নামক উক্ত দুইগ্রাম অদ্যাপি লাখেরাজ ভোগ করিতেছেন। কি কারণে বলা যায় না, ১৭৬৯ খৃষ্টাঙ্গে তিনি কতকট সৈন্ত ও সর্দারগণসহ আহোম রাজ্যের সীমার সন্নিকটে গিয়াছিলেন। পরে রহাগামী ক্ষুদ্র জাহোম সৈন্যদলের উপস্থিতিতে বিক্ষিত হইয়া প্রত্যাগমন করেন। ইহার পরে, বড় গোসাঞি ও র্তাহার পত্নী রাণী কাশালতী হরেকৃষ্ণ উপাধ্যায় নামক ব্রাহ্মণ হইতে ঈশ্বরোপাসনার জন্য মন্ত্র গ্রহণ করেন। বড় গোসাঞি গুরুদক্ষিণা স্বরূপ পরগণা সাতবাক—নয়ামাটি মৌজা হইতে সিংহমোহরাঙ্কিত তাম্রপত্রে ৬০/ হাল ভূমি এবং কাশাসতীদেবী রাজ অভিমতে পরগণ রাজেরাজ--ধনপুর মৌজা হইতে ৩•/ হাল ভূমি গুরুকে ব্ৰহ্মত্র দান করেন ।