পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ २न प्ठांः 8f थॆः এতদ্বারা দেখা যাইতেছে যে গবর্ণমেণ্ট জয়ন্তীয়া হইতে বাধিক দ্বিলক্ষাধিক টাকা কেবল ভূরাজস্ব মধ্যেই প্রাপ্ত হন। রাজস্ব আদায় জন্য জয়ন্তীয়ায় দুইটি তহশীল আফিস স্থাপিত হইয়াছে, একটি গোয়াইন ঘাট নামক স্থানে, অপরটি কানাইরঘাটে । পীয়াইনগোল, ধরগাম, জাফলং জয়ন্তীয়াপুরীরাজ, আড়াইখা ও পশ্চিমভাগ এই ছয়টি পরগণা গোয়াইনঘাট তহশীলের অধীন, অবশিষ্ট পরগণাগুলি কানাইরঘাট তহশীলের অন্তর্ভুক্ত । 疇 ষষ্ঠ অধ্যায়—বিবিধ কথা । জয়ন্তীয়ায় গবর্ণমেণ্টের একটি থানা ও তদধীনে দুইটি আউটপোষ্ট স্থাপিত হইয়াছে। থানা কানাইরঘাটের এলাকায় প্রায় পঞ্চাশীতি সহস্র লোকের বাস, এখানে একজন সবইনিসূপেক্টর ও আটটি কনেষ্টবল থাকে। আউট পোষ্ট—জয়ন্তীয়াপুর ও গোয়াইনঘাটেও একজন করিয়া সবইনিস্পেক্টর ও যথাক্রমে চারি ও পাঁচটি কনেষ্টবল থাকার কথা আছে । কানাইরঘাট ও গোয়াইনঘাটে দুইটি তহশীল অফিস আছে, পূৰ্ব্বেই বলা গিয়াছে। জয়ন্তীয়ায় সাধারণতঃ অধিক বৃষ্টি হইয়া থাকে, নদীর বেগ প্রখর । জয়ন্তীয়ায় লোভা, গোয়াইন, পীয়াইন, চেঙ্গরখাল, তেলিখাল, হারিগাঙ্গ ও বড়গাঙ্গ প্রভূতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদীগুলি প্রবাহিত । ইহার সুরমা নদীতে পতিত হইতেছে ; চেঙ্গর খাল গোয়াইন নদীর শাখা বিশেষ । এই সকল নদী সহযোগেই জয়ন্তীয়ায় অন্তৰ্ব্বাণিজ্য নিৰ্ব্বাহিত হয়। তেজপত্র, কমলা, লঙ্কা, পাখা, পাণ, ঝলাঙ্গ, ও কাষ্ঠ ইত্যাদিই প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য। জয়ন্তীয়ায় সুগন্ধযুক্ত সুমিষ্ট একপ্রকার কুমড় জন্মিয়া থাকে। জয়ন্তীয়ায় প্রায় অষ্টাবিশংতি সংখ্যক বাজার আছে । * তন্মধ্যে নিজ পাটের বাজার সর্বাপেক্ষা বৃহৎ । কানাইরঘাট, লাখাটু, গাছবাড়ী,

  • গোয়াইন ঘাট থানার অধীন বাজারগুলির নাম — ৰিয়াকান্দি, চৈলাখাল, গেরো, গোয়াইন, হরিপুর, জগাবহর হাওর, কহাইঘর, মাণিকগঞ্জ, মিতির মহাল, নিজপাট, পাচহাতীখেল, জাফলং বাগান, পানিছড়া, সরুফোঁদ।

নদী, উৎপন্নজব্য ও বাজার ইত্যাদি ।