পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ २झ छां: 8र्ष पंई সিটেঙগণ হিন্দুধৰ্ম্মে আস্থাবান ; তাহারা দৈত্য দানব পূজা করিলেও তাহা অনেকটা হিন্দুধৰ্ম্মের আদর্শে মার্জিত। নাটিয়াঙ্গের সিন্টেঙ গণ “দুর্গামাই ও কালীমাইকে পূজা করিয়া থাকে। রাজাদের স্থাপিত দেববিগ্রহ ও মহাপীঠ জয়ন্তীয়াবাসী বাঙ্গালী ও খাসিয়া, সকলেই সমভাবে মান্ত করে। ফালজোরের পীঠাধিষ্টাত্রী কালী ও রূপনাথ ব্যতীত পশ্চাদ্বর্ণিত দেবতার বিষয়ও উল্লেখযোগ্য। জয়ন্তেশ্বরীর বিষয়ও এস্থলে বর্ণিত হইল না, তদ্বিবরণ প্রসঙ্গতঃ স্থলান্তরে উক্ত হইয়াছে। জয়ন্তীয়ার হরিপুরে তপ্তকুণ্ড’ নামে একটা উষ্ণ কুণ্ড আছে, তদ্বিবরণও অন্যত্র কথিত হইয়াছে। বিল্লাটেকের কালী—এই কালীকে লোকে বিশেষ শ্রদ্ধা ও ভয় করিয়া থাকে । ইহঁার বাড়ীর নিকট দিয়া যে খাল প্রবাহিত হয় তাহার নাম “কালিকার খাল” হইয়াছে। এই কালী পূৰ্ব্বে বামজঙ্ঘাপীঠের নিকটে ছিলেন। বাউর ভাগের কালী—একফুট দীর্ঘ, নয় ইঞ্চি প্রসর একখণ্ড প্রস্তরে এই কালীমূৰ্ত্তি উৎকীর্ণ। ইহার প্রসাদ কেহই খায় না। কথিত আছে যে ইহঁার প্রসাদ ভক্ষণে রোগ জন্মে ও মৃত্যু হয়। গৌরী শঙ্কর—রাজবাটীর এক মাইল উত্তরে এক শৈল খণ্ডের উপরে এক প্রস্তরখণ্ডে শিব ও দুর্গার প্রতিমূৰ্ত্তি অঙ্কিত। ইহার দক্ষিণ পাশ্বস্থ ক্ষুদ্র পল্লীটি দেবতার নামানুসারে “গৌরীভুবন” বলিয়া খ্যাত। উমানন্দী—বড় গাঙ্গের তীরে প্রাচীর বেষ্টিত এক মন্দিরে হরপাৰ্ব্বতীর প্রতিমূৰ্ত্তি বিরাজিত। ইহা উমানন্দীমন্দির নামে খ্যাত। ভোলানাথ (দুইজন )—১ । নিজ পাটের ভোলানাথ ছয়বুড়ী নদীতীরে অবস্থিত। ২। কামাইদ গামের ভোলানাথ ( আড়াই খা পরগণাধীন ) কামাইদ গ্রামে অৰস্থিত। কথিত আছে, এই মহাদেবকে কুঠারঘাত করায় জনৈক যবন মৃত্যুমুখে পতিত হয়। জগন্নাথ—ডোঁডিগ গ্রামে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্র মুক্তি আছেন। রথযাত্রায় রাজারা এই স্থানে রথ দর্শন করিতেন। নিজ পাটের কালী—এই কালীর বিবরণ পূৰ্ব্বে কথিত হইয়াছে। মহারাজ বড় গোসাঞি, লীলাপুরী দ্বারা এই কালী প্রতিষ্ঠা করেন ওপশ্চাৎ স্বয়ং দেববিগ্রহাদি।