পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম অধ্যায়। ] , প্রথম অৰস্থ । >岁, এই টাকার বিপুল কৌড়িরাশি রাজস্ব স্বরূপ গ্রহণ করা যে কতদূর আয়াসসাধা, তাহ সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে । এই সকল কৌড়ি রাখার জন্য অনেকগুলি বড় বড় ঘর নির্মাণ ও বংসর শেষে এক বৃহৎ তরী শ্রেণী সজ্জিত করতঃ ঢাকায় প্রেরণ করিতে হইত। ইহাতে শতকরা দশটাকা ক্ষতি হইত। ঢাকা যাওয়ার পথেও আরও কতক অপচয় ঘটিত ।” t “আমার পূৰ্ব্বে ঢাকায় কৌড়ি পাঠাইতে এক একটি করিয়া গণনা করার প্রথা প্রচলিত ছিল, আমি তাহ উঠাইয়া ওজন পূর্বক কৌড়ি গ্রহণের প্রথা প্রচলিত করিতে ইচ্ছা করিলে আমার বিচক্ষণ কৃষ্ণকায় খাজাঞ্চি তাহা অসম্ভব বলিয়া প্রকাশ করে । কিন্তু আমার হুকুম অন্যথা হইবার নহে, কাজেই ওজন আরম্ভ হয়। কিন্তু কৌড়ির গায়ে বালি সংলগ্ন থাকায় নির্দিষ্ট সংখ্যা অপেক্ষ এক তৃতীয়াংশ অধিক মূল্য দাড়াইল । আমি তখন একটি নির্দিষ্ট পরিমাপযন্ত্র নিৰ্ম্মাণ ক্রমে তদ্বারা ওজন কাৰ্য্য সমাধা করিতে লাগিলাম। বৃদ্ধ খাজাঞ্চির পরামর্শে এক ঝুড়িতে কৌড়ি রাখিয়া পরিমাপের কার্য্য নির্বাহ করা হইত। এইরূপে রাজস্ব আদায় করিয়া ঢাকায় প্রেরণ ও প্রকাশ নীলামে বিক্রয় পূর্বক রৌপ্য মুদ্রায় পরিণত করা হইত। মুখের বিষয় যে, এই প্রথা দীর্ঘকাল স্থায়ী হয় নাই, সত্বরেই তাহ উঠাইয় দেওয়া হয় ।” “এখন ব্যবসায় বাণিজ্যের এক বিস্তৃত ক্ষেত্র আমার নয়ন সমক্ষে প্রসারিত রেসিডেন্টের বেতন ও দেখিতে পাইলাম। রেসিডেন্টরূপে আমার বার্ষিক তখনকার বেতন পঞ্চ সহস্র মুদ্রার অধিক ছিল না ; স্থতরাং ধনেবাণিজ্য । পার্জনের উপায়ান্তর অবলম্বন করিতে হইয়াছিল ; তাহা আমার ব্যক্তিগত পরিশ্রমের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিত।” “দেশের নিম্নভূমির অবস্থা শোচনীয় ছিল, ধান্ত ব্যতীত তথায় আর কিছু জন্মিত না । পাহাড় সংলগ্ন ভূমির অবস্থা কিছু উন্নত ছিল, তথায় ইক্ষু, তুল৷ প্রভৃতি মূল্যবান শস্ত জন্মিত। ইহা ছাড়া উচ্চ স্থানে নৌকা ও অর্ণবপোত নিৰ্ম্মাণোপযোগী উৎকৃষ্ট কাষ্ঠ ও উচ্চ অঙ্গের লৌহ পাওয়া যাইত। চীন সীমান্ত হইতে “মুগাজ ধুতি” নামক নিম্নশ্রেণীর রেশম আমদানী হইত। তদ্ব্যতীত পৰ্ব্বত শ্রেণী চূণের অফুরন্ত ভাণ্ডার স্বরূপ ছিল।” 8 o 弹