পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

pop वैश्योद शउइड । ।। २ध्र पठtः e१.१ः দশসনা মহালের অতিরিক্ত অনেক ভূমিই শ্ৰীহট্টে ছিল, এবং সৰ্ব্বসাধারণে বিনা রাজস্বে তাহা ভোগ করিতেছিল, এই সমস্ত ভূমির অনুসন্ধানার্থে সদর l বোর্ড ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে আদেশ করেন। তদনুসারে ঐহট্টের এলাম জমি। কালেক্টর কর্তৃক নিয়োজিত হইয়। পাটওয়ারিগণ দশসন৷ 弘 মহালের অন্তর্গত উক্ত ভূমির আহমানিক মৌজাওয়ারি দাখিল করিলে, কালেক্টর সাহেব এই মৰ্ম্মে এলাম বা এতেল নামা জারি করেন যে, পাটওয়ারিদের দাখিল মৌজাওয়ারির প্রতি কাহারও কোনও আপত্তি থাকিলে তাহ যেন উপস্থিত করা হয়। কিন্তু কাৰ্য্য এই পৰ্য্যন্তই মাত্র হইল । এলাম বা এতেলানামা জারি হইয়া কাৰ্য স্থগিত হওয়ায় এই অতিরিক্ত ভূমি পরে এলাম ভূমি নামে অভিহিত হয়। ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে এই ভূমির কিয়দংশ মলিং সাহেব কর্তৃক চিরস্থায়ীরূপে “হালাবাদি” নামে বন্দোবস্ত হয়। হাল অর্থে বর্তমান। বর্তমানে অর্থাৎ দশসনা বন্দোবস্তের পরে এই সময়ে (১৮৭ খৃষ্টাৰ হইতে ১৮১২ খৃষ্টাৰ পৰ্যন্ত) এইরূপ অনেক নূতন আবাদি ভূমি হালাবাদি মুমাদি প্রভৃতি চিরস্থায়ীরূপে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়, এই সকল তালুক চিরস্থায়ী মহাল। “হালাবাদি মুমাদি" নামে অভিহিত হইয়া থাকে ; ইহাদের সংখ্যা • • • এবং রাজস্ব ২৮০৮ টাকা । থাস হালাৰাদি— এই নামে আর এক শ্রেণীর চিরস্থায়ী মহাল শ্ৰীহটে আছে ; এই মহালগুলিও হালাবাদি মুমাদি শ্রেণীর অন্তর্গত ছিল, পরে রাজস্ব বাকিতে নিলাম হইলে, গবৰ্ণমেণ্ট স্বয়ং ক্রয়. করতঃ সেই নির্দিষ্ট খাজানার উপর অপরের নিকট বিক্রয় করেন। এই মহালগুলি গবৰ্ণমেণ্টের খাস বা নিজস্ব হইয়াছিল মলিয়া “খাস হালাবাদি” নামে খ্যাত ; এইরূপ মহালের সংখ্যা ১৫ এবং রাজস্ব ১৩২৮ টাকা । খাস মুমাদি—শ্ৰীহট্টে এই নামে এক শ্রেণীর চিরস্থায়ী মহাল আছে। এগুলি প্রকৃত দশসনা মহাল ছিল এবং পরে ইহাও খাজানা বাকিতে নিলাম হইয়া গেলে ৰয়ং গবর্ণমেণ্ট ক্রয় করেন এবং নির্দিষ্ট জমার উপর অপরের নিকট বিক্রয় করেন। এইরূপ মহালের সংখ্যা ৪৬৪টি এবং রাজস্ব ৬৭৪০ টাকা । , কিন্তু এইরূপ মহালের ভূমির পরিমাণ নির্দেশক হালাবাদি জরিপ ইহার