৪র্থ অধ্যায়। ] ইংলিস কোম্পানী । a & হাইকোর্টে আপিল হয় ও দেওয়ান ব্রজমোহন রায়ের সাক্ষ্য নির্ভরে হড়সন জয়লাভ করেন। মেম তখন বিলাতের প্রিভি কৌন্সিলে পুনরপি আপিল চালাইতে উদ্যতা হন। হড়সন বিলাতের আপিলের খরচ চালাইতে অসমর্থ ছিলেন, কাজেই লভ্য বাবতে অশীতি সহস্র টাকা মাত্র আপোষে লইয়া লভ্যের দাবি ত্যাগ করেন। হড়সন এই টাকা তখন গ্রহণ না করিয়া কোম্পানীর খাতায় নিজ নামে জমা রাখিয়া দেন। হড়সন সাহেব ন্যায়বান ও তেজস্বী পুরুষ ছিলেন। হারি সাহেবের মৃত্যুর পর তিনি যেরূপ উদ্যমে কৰ্ম্ম চালাইতে ছিলেন, তাহাতে কোম্পানীর চরম উন্নতি ঘটিয়াছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে মেম সাহেবের সহিত মনোমালিন্ত ঘটায় তাহার মন অনেকটা ভগ্ন হইয়া যায়, উদ্যম উৎসাহ কমিয়া যায়, তিনি কাৰ্য্যস্থানে না থাকিয়া অধিকাংশ সময়ই শ্রীহট্ট সহরে, ঢাকায় বা কলিকাতায় কাটাইতেন। শ্ৰীহট্টে নবাব তালাবের দক্ষিণ তীরে নদীর উপরে হডসন সাহেবের কুঠি ছিল, বিগত ভূকম্পে তাহার চিহ্ন বিলোপ হইয়াছে। মেনেজারের শৈথিল্যে কোম্পানীর অবনতির সূত্রপাত হয়, কমলা ও জমিদারি বিভাগেও ক্ষতি হইতে আরম্ভ হইয়াছিল। হড়সন সাহেবের সহিত আপোষ হইলে মেম বিলাতে চলিয়া যান ; তথায় তাহার মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে তিনি ষে চরম-পত্র সম্পাদিত করেন, তাহাতে র্তাহার তিন পুত্র কোম্পানীর অধিকারী হন। ইহঁদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ এল, এ, এল ইংলিস (Liond Arthur Lister Inglis),- যিনি সাধারণতঃ লিও ইংলিস নামে খ্যাত ছিলেন, বিলাতের মেনেজার নিযুক্ত হন। ভারতবর্ষে আসিয়াও র্তাহাকে কারবার দেখিতে হইত। লিও ইংলিস সাহেব উদ্ধত প্রকৃতির লোক ছিলেন। শিকার, নৌকাচালন ইত্যাদিতে সময় ক্ষেপন করিতে ভাল বাসিতেন। ভারতবর্ষে আসিয়া তিনি পিতামাতার শবাধার চেরাপুঞ্জির কুঠির হাতায় চত্বরোপরি স্থাপন করিয়৷ তদুপরি সমাধিস্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করেন; ইহাতে হারি সাহেবের দেহ মাটীর উপবেই থাকিয়া যায়। ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দে চেরাপুঞ্জি হইতে শিলং নামক স্থানে আসামের রাজধানী 8b"