পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to e ঐহটের ইতিবৃত্ত । [ ২য় ভাঃ ৫ম খঃ চাড়ালগণ মোসলমান হইয়। ‘মাহি নাম ধারণ করতঃ অদ্যপি পূৰ্ব্ব ব্যবসায়ই করিতেছে । আর অন্যান্য জাতি শেখ’ ইত্যাদি হইয়া কৃষি ও অন্যান্য কৰ্ম্ম করিতেছে । ভদ্র মোসলমানগণ কায়স্থ-ব্যবসায় করিতেন, এখনও করেন । কি হিন্দু কি মোসলমান,— সামান্য লোকে পাদুকা ব্যবহার করিতে পারি ত না, বিবাহে নহবংখানা উঠাইতে পারিত না এবং তাহাদের স্ত্রীলোকের নাকে নথ ও পায়ে অলঙ্কার পরিতে পরিত না ।” ভদ্র গৃহস্থের বাটতে দোল দুর্গোৎসব হইত, যতদূর সাধ্য স্বয়ং কৰ্ত্তাই দেবকাৰ্য্যে স্বহস্তে কৰ্ম্ম করিতেন, এই সময়ে কেহ পাতুকা ব্যবহার করি ে ন না । - দেবকীর্ষ্য । , গুরুদেব বাড়ীতে আসিলেও কেহ খড়ম বা জুতা ব্যবহার করিতেন না ও পাড়ার সকলে সেই বাড়ীতে আসিয়া প্রসাদ পাইতেন । দুর্গোৎসবে কাঠাম বিসর্জনে যাওয়া কালে প্রতি গ্রামেই কে আগে যাইবেন, কাহার কাঠম পাছে যাইবে ইত্যাদি বর্ণধা নিয়ম ছিল । বিবাহ ও শ্রাদ্ধ সভাতে এবং গোবিন্দ কীৰ্ত্তনের মেলে সামাজিক গোলমাল মীমাংসিত হইত। পুরাণপাঠ, শনি ও সত্যনারায়ণের সেবায় পাঁচালী পাঠ, এবং শ্রাবন মাসে পদ্ম পুরাণ পাঠ হইত, মুর সংযোগে যিনি লাচাড়ী গাইতে পারিতেন, র্তাহার খুব নাম ছিল । চামর হাতে থেল করতাল যোগে ও পদ্মপুরাণ এবং চৈতন্যমঙ্গল গীত হইত। বৈষ্ণবের ঘরে ঘরে তুলসী ও চন্দন সহ ভাণবং ও বিশ্বশুরের ( শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের ) পূজা ও ধূপ ধুনা দেওয়া যাইত । গ্রাম্য মেলবন্ধন বড়ই মুন্দর ছিল। ব্রাহ্মণ ভদ্র, বড় ও ছোট লোক গ্রাম্য-বন্ধন । একে অন্যকে বয়সের তারতম্যানুসারে ‘কাকা’ ‘জেঠা’ ‘দাদা' পুতি’ ‘মামা' ইত্যাদি সম্বন্ধ পাতিয়া ডাকিত। বয়েধিক, হইলেছ কেহ কাহাকেও নাম ধরিয়৷ ডাকি বার নিয়ম ছিল না, উহ। বড়ই বে-আদবি গণ্য হইত। ভাণ্ডারী বা ভূত্যবর্গের সহিতও এইরূপ গ্রাম্য সম্বন্ধ রক্ষিত হইত এবং ব্যবহারে তাহ যেন প্রকৃত সম্বন্ধ বলিয়াই বোধ হঠত । এক স্নবৰ্ত্তী প্রধাতে তখন বিকারের কীট প্রবেশ করে নাই ; বাড়ীর বয়োজ্যেষ্ঠ যাহ। করিতেন, অপর সকলে অবাধে তাত মানিয়া চলিত ; ছোট ভাই বড় ভাইকে পিতার মত ও তাহার স্ত্রীকে মাতাঃ সমান দেখিতেন। ব্যক্তিগত স্বাধীনত