পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম অধ্যায়। ইংরেজ আমলের প্রথম শতাৰী। *. ৰ৷ ‘হামবড়াই ভাৰ অপরিজ্ঞাত ছিল । হিন্দু মোসলমানে সম্ভাব ছিল, কোম কোন গ্রামে মোসলমানেও বিষহরি ও শীতলি দেৰীর পূজা দিত, দুর্গোৎসবের মিছিলের সঙ্গে মোসলমানরাও. যাইত, পক্ষাস্তরে মহরমের সময় হিন্দুরাও তরবারি খেলায় মাতিত । কোন গৃহস্থের অৰস্থা উন্নত হইলেই দেবালয় স্থাপন, পুষ্করিণী ও অশ্বখ প্রতিষ্ঠাদি করতেন । ই ভর লোকের টাকা হইলে নেীক এবং পাট বিষহরি সংক্রিয়া ও পূজাই অধিক করিত। নৌকা পূজার বিবরণ সুশিক্ষা । ভৌগোলিক বৃত্তান্ত ভাগে (অষ্টম অধ্যায়ে) বলা গিয়াছে ; বহু সংখ্যক দেবদেবীর প্রতিমূৰ্ত্তি সহ বিষহরির কাঠাম প্রস্তুত ক্রমে ‘ পূজা করাই নৌকা পূজা নামে খ্যাত। মানসিক কাব্যদুর্গ ও ডরাষ্ট পূজাম্ব ৰূপালী ( কেওয়ালি ) ও গুরমা ( নপুংসক ) গণ গান গাইত, উহাদের अन्त्रीलङ পূর্ণ গানে দুই ব্যক্তি একত্র উপবেশন করা কঠিন হইলেও অনেক লোকই ইহার পক্ষপাতী ছিল । ইহা এক রূপ উঠিয়াই গিয়াছে। পাড়ায় পাড়ায় রামায়ণ মহাভারত পাঠের প্রথা বড়ই সুন্দর ছিল ; বলিতে গেলে কৃত্তিবাস ও কাশীদাসের প্রভাবে,—রাম যুধিষ্ঠিরাদির আদর্শেই বঙ্গ সমাজ গঠিত হইয়াছিল এবং সে প্রভাব আজ পর্যন্ত একবারে লুপ্ত হয় নাই। হাট হইতে মধ্যবিত্ত ব্যক্তির ঘরে ফিরিলে হাত পা ধুইয়া কাপড় বদলাইয়া ঘরে যাইতেন। বাহক্রিয়া সমাপনান্তেও বস্ত্রত্যাগ ও গা ধুইতে হইত। জলগ্রহণ ব্যতীত কেহই প্রস্রাব করিত না, লোকের স্বাস্থ্যও ভাল ছিল । ছেলেদের স্বশিক্ষার বন্দোবস্ত ছিল। প্রাচীন শিক্ষাপদ্ধতি এসময়ে উঠিয়া গেলেও গুরুমহাশয়ের বেত্রের গুণে ছাত্রের চরিত্র অনেকটা মার্জিত হইত। ছেলের পিতামাতার নিকট মুখে মুখে চাণক্য শ্লোক শিথিয়া লইতু। ভূমিতে বালুকাস্তর বিস্তার করিয়া খড়ি দিয়া তাহঁতে ক খ লিখিত, ও “শিশুবোধক” হইতে “ক য়ে করাত, খ য়ে খরগোষ", শিখিত। লিখাপড়ার উন্নতির সহিত কলাপাতে ও সর্বশেষে ভোটিয়া কাগজে লিখিবার অধিকার পাইত । ছুটীর পূৰ্ব্বে খড়িবাড়ী মাটীতে রাখিয়া তাহtৱ উপরে মাথাৰিয়া সরস্বর্তী প্ৰণাম করতঃ বাড়ী যুইজ সন্ধ্যারপর মজলিঙ্গ অভিভাবকদের মধ্যেও কখন কখন ф е