পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X e Yo শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । এই প্রসাদ সংলগ্ন ( এক হাত দীর্ঘ ও তিন পোয় প্রস্থ ) প্রস্তরের লিপি এস্থলে দেওয়া গেল :-— “ঐশ্ৰীননানন্দনাজ্ঞয়া নেত্রাঙ্করস চক্ৰমিতে শাকে কাৰ্ত্তি কস্থিতে ভাস্করে হেড়ম্বাধিপত্তি শ্ৰীশ্ৰীমদ্ধরিশ্চন্দ্র নারায়ণাভু্যদয়িনি রাজ্যে তদন্তর্গত খাসপুর নাম নগরে ৮ তৎপাদ পঙ্কজ মকরন্দ লোলুপমান শ্ৰীল শ্ৰীমতী রাজ মাতা লক্ষ্মীপ্রিয়াদেবী সাধিতেঃকাদি নিচয় নিৰ্ম্মিত বিচিত্র প্রাসাদভিরাম।” প্তাহীর মন্ত্রীর নাম জয়সিংহ বৰ্ম্ম ছিল । তিনি বর্ণারপুরের নিকট চন্দ্রগিরিতে এক মন্দির নির্মাণ পূর্বক শিব স্থাপন করেন। মন্দির সংলগ্ন লিপিভে “ঐযুক্ত জয়সিংহ মহাপাত্র—১৭০৬ শকাব৷” লিখিত আছে। মহারাজ হরিশ্চন্দ্রের দুই পুত্র, জ্যেষ্ঠ কৃষ্ণচন্দ্র ও কনিষ্ঠের নাম গোবিন্দ চন্দ্র। ত্রৈপুর রাজধানীর ন্যায় কাছাড়ের রাজধানী উত্তর হইতে ক্রমশঃ দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হইয়াছে দেখা যায়। শিলচর হইতে প্রাচীনতম ডিমাপুর কাছাড়ের প্রায় একশত মাইল উত্তর পূৰ্ব্বে অবস্থিত। ডিমারাজধানী । পুরের পর মাইবঙ্গের প্রতিষ্ঠ, ইহার অবস্থান বৰ্ত্তমান রাজধানী শিলচরের প্রায় পঞ্চাশং মাইল উত্তরে। তাহার পরেই খাসপুরে রাজধানী স্থাপিত হয়, ইহাও শিলচর হইতে কিঞ্চিদধিক দশ মাইল উত্তরে অবস্থিত। উদারবন্দ পরগণা স্থিত শিবরবন্দ মৌজায় উক্ত রাজপাট ছিল। ঐ স্থানে মহারাজ হরিশ্চন্দ্র ও তৎপুত্র কৃষ্ণচন্দ্র ও গোবিন্দ চন্দ্রের নামে আখ্যাত তনটি ইষ্টকালয়ের ভগ্নাবশেষ আছে। তন্মধ্যে "হরিশ্চন্দ্র রাজার পাট” নামে পরিচিত প্রসাদের মেজটি দৈর্ঘ্যে ১২ ফিট গ্রস্তে ৮ ফিট এবং চতুর্দিগস্থ বীরেন্দীগুলি ৪২ ফিট প্রশস্ত। খাদপুরের রাজবাটীর সিংহদ্বারের ও রণচণ্ডী দেবীর মন্দিরের চিত্র প্রদত্ত হইয়াছে । রাজনগর পরগণায়ও প্রাচীন রাজকীৰ্ত্তির অনেক নিদর্শন আছে । উক্ত পরগণায় হাতীরহাড় নামক গ্রামে “গোয়রের জঙ্গাল" বলিয়া খ্যাত দুইটি