পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/وl তবে তৎসম্বন্ধে জ্ঞাতব্য বিষয় আমাদিগকে লিখিয়া পাঠাইবেন । ইহাতেও অনেক ফল হইয়াছিল, অনেকে গতবৰ্ষত্রয়ে এমন কি এই বৎসরেও বহু বিবরণী পাঠাইয়া আমাদিগকে বাধিত করিয়াছেন । শ্ৰীহট্টের কালেক্টরির মোহাফেজ খানায় যে সমস্ত কাগজ পত্র হইতে বহু ঐতিহাসিক উপকরণ সংগৃহীত হইতে পারে, তাহা পৰ্য্যবেক্ষণার্থ ১৩১০ সালে ডিপুটী কমিশনার সাহেব বাহাদুর নিকট আবেদন করা হয়। ১৩১১ সালে মহামান্য শ্ৰীযুক্ত চিফ কমিশনার সাহেবের সেক্রেটরি বাহাদুর এতদ্বিষয়ে অনুমতি প্রদান করেন। ত্রযুক্ত অচু্যত বাবু স্বয়ং এই কাগজ পত্র তদন্ত করিবার ভার গ্রহণ করিয়া প্রায় বৎসরাদ্ধ কাল প্রভূত পরিশ্রম সহকারে ইতিবৃত্তের বকু মালমসলা সংগ্ৰহ করিয়াছেন। পারস্তে লিখিত অনেকগুলি সনদের সার সংক্ষেপও সংগৃহীত হইয়াছে ইহা বংশ বৃত্তান্ত ভাগ সংকলনে বিশেষ সহায়তা করিবে । শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত চারিভাগে বিভক্ত হইয়াছে। ১ম—ভৌগোলিক বৃত্তাস্ত, ২য়—ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত, ৩য়-বংশ বৃত্তান্ত, ৪র্থ –জীবন বৃত্তাস্ত । সম্প্রতি এই ‘পূৰ্ব্বাংশে ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত প্রকাশিত হইল। উত্তরাংশে অপর দুইভাগ প্রকাশিত করিবার সংকল্প আছে, তাহ ভগবদিচ্ছার উপর এবং অনেকটা এই পুৰ্ব্বাংশ সাধারণ্যে কিরূপে গৃহীত হয় তাছার উপর নির্ভর করে। শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত সচিত্র’ প্রকাশ করিবার নিমিত্ত অনেক স্থানে ফটো চাহিয়াও পাওয়া গেল না। যতটুক সংগ্ৰহ করিতে পারা গেল, দেওয়া গেল । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, ইতিবৃত্তের লেখক শ্ৰীযুক্ত অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি মহাশয়ের গুণ কীৰ্ত্তন এই ভূমিকার উদ্বেগু নহে। তথাপি এইমাত্র বলা উচিত মনে করিতেছি যে, শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত' এই আকারে প্রকাশিত হওয়া নিতান্তই বিধিনির্দিষ্ট ছিল, তাই অচ্যুত বাবুকে গ্রন্থপ্রণেতৃরূপে পাওয়া গিয়াছে। এই কাৰ্য্য যদি আমার করিতে হইত তবে অদ্যাপি উহ! আদৌ রচিত হইত,কি না তাহাই সন্দেহের বিষয় ছিল—রচিত হইলেও