পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψ3by ভৌগোলিক বৃত্তান্ত । [ ১ম ভাঃ ৭ম অঃ — সময় সময় অনেক বৃহৎ মৎস্তের সংবাদ শুনা যায়। ১৯০৩ খৃষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে ইনায়েত গঞ্জের নিকট কাতিয়া গ্রামে ১৩১৪ বৎসরের একটি বালক হাওরের জলে ডুব দিয়া ঘাস কাটিয়া ভাসাইয়া দিতেছিল; তদবস্থায় এক বৃহৎ বোয়ালমাছ বালকের মস্তক হইতে কটি পর্য্যন্ত গ্রাস করিয়াছিল ; পরদিন উভয়েরই মৃত্যুদেহ ভাসিয়া উঠিয়াছিল। সৰ্পের মধ্যে কৃষ্ণসপ বা আলদ ত্রিপুরায় পানক সর্প) অতি ভয়ঙ্কর। ইহাদেরই ফণের উপর গোস্কুরের চিহ্ন দৃষ্ট হয়। দাড়াইস, বেকাত্রিশ ও শাখানি প্রভৃতি অনেক জাতীয় বিষাক্ত সৰ্প আছে। বুড়া সাপও অনেক রূপ আছে। পাহাড়ে ওলোবুড়া নামক অজগর জাতীয় সুবৃহৎ সর্পও পাওয়া যায়। অজগরের হরিণ ও শূকর প্রভৃতি অনায়াসে গিলিয়া ফেলে। o বিবিয়ানা ও ধনেশ্বরীতে ঘড়িয়াল ও কুম্ভীর মধ্যে মধ্যেদেখা যায়। নদী ও হাওর হইতে বহু উদবিড়াল ( উদ ) ধূত করিয়া গড়োয়ালের অনেক চৰ্ম্ম কলিকাতায় চালান দেয় এবং প্রতি বৎসর বহু অর্থ উপার্জন করে । i. সপ্তম অধ্যায়—অধিবাসী । শ্ৰীহট্টের অধিবাসী মধ্যে হিন্দু, মোসলমান, ব্রাহ্ম, খৃষ্টান, দৈত্য উপাসক প্রভৃতি নানা ধৰ্ম্মাবলম্বী ব্যক্তি আছে । কয়েক সম্প্রদায় পাৰ্ব্বত্য জাতি ভিন্ন সকলই বাঙ্গালী জাতি। নিয়ে প্রধান জাতি সমূহের সংক্ষেপ পরিচয় লিপিবদ্ধ হইল। কোন জাতীয় লোক কিরূপ সন্মান ভাজন এবং তাহাদের সামাজিক অবস্থার বিষয় তৃতীয়ভাগে সামাজিক বিবরণে পশ্চাৎ বিবৃত হইবে, এই স্থানে তত্তাবৎ লিখিত হইল না। এ অধ্যায়ে বিভিন্ন জাতিদের ষে জনসংখ্যা লিখিত হইল, তাহ ১৯০১ খৃষ্টাব্দের গণনানুসারে প্রাপ্ত, বুঝিতে হইবে।