পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় : মোসলমান বংশ বর্ণন শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১২৫ সম্বন্ধ না পাওয়াতে, আমাদিগকে তাহা পরিত্যাগ করিতে হইয়াছে। কেবল যে উত্তর শ্রীহট্ট সবডিভিশনের সম্বন্ধেই এরূপ বলিতেছি, তাহা নহে; অন্যান্য সবডিভিশনে অধিবাসীগণ সম্পর্কেও ঐ একই কথা প্রযোজ্য; এই এক স্থানেই আমরা তাহা বলিয়া রাখিলাম মাত্র । আমরা উত্তর শ্রীহট্টের যে সব বংশ বিবরণ পাইয়াছি, তন্মধ্যে প্রথমেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পিতামহ উপেন্দ্র মিশ্রের বংশ বিবরণ পাইয়াছি, তন্মধ্যে প্রথমেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পিতামহ উপেন্দ্র মিশ্রের বংশ বিবরণ বর্ণন করিয়াছি; উপেন্দ্র মিশ্রের মাতামহ বংশ-বুরুঙ্গার মৃতকৌশিক গোত্রীয় চৌধুরীদের বংশের উল্লেখও করা হইয়াছে। বুরুঙ্গার পর রেঙ্গার বিশারদ বংশ-কথা বর্ণিত হইয়াছে তৎপর রেঙ্গার ভরদ্বাজ গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণের উল্লেখ করিয়াই ঢাকাদক্ষিণের সম্প্রদায়িক বৎস ও মৌদগুল্য গোত্রীয়গণের বিবরণসহ তত্ৰত্য অগ্নিহোত্রী ও লস্করবংশের পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে। ইহার পর বনভাগের উপাধ্যায় বংশ কথা, মৌজপুরের ভট্টাচাৰ্য্য ও লক্ষ্মীপুর প্রভৃতি স্থানের বিদ্যাবিনোদ বংশ কাহিনী কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। অতঃপর ব্রাহ্মণ কথা, ও কৌড়িয়ার ভট্টাচাৰ্য্য এবং কুরুয়ার গোস্বামী বংশ বিবরণ বর্ণিত হইয়াছে; তৎপরে বোয়ালজুরের ও রায়নগরের ব্রাহ্মণ কথার সহিত "ব্রাহ্মণ-বিভাগ" সমাপ্ত হইয়াছে । “সাধারণ বিভাগে" প্রথমেই শহরের সন্ত্রান্ত বৈদ্য ও কায়স্থাদির বংশের উল্লেখ করা গিয়াছে; তাহার পর দুলালীর বৈদ্য বংশের সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ হইয়াছে । তদনন্তর ঢাকাদক্ষিণের দেব, দত্ত ও কর বংশের কথা কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। অতঃপর গোধরালি, দিগলী ও বনভাগ এবং রেঙ্গা প্রভৃতি স্থানের ভদ্র পরিবারের ২/৪টি কথা সামান্যতঃ বলা হইযাছে। মোসলমানগণের বংশের মধ্যে শহরের মজুমদার, মুফতি ও সকুম এই তিনটি শ্রেষ্ঠ বংশের বিবরণসহ মৌলবী পরিবারের সম্বন্ধে দুই চারিটি কথা বলা গিয়াছে। এবং জলালপুরের সকদুম রহিম উদ্দীনের বংশের নামোল্লেখ মাত্র করা হইয়াছে। তৎপর ভাদেশ্বরের শেখ বংশ কথা, তাহাতেই এখণ্ড পরিসমাপ্ত হইয়াছে।