পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫২ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত তৃতীয় ভাগ-তৃতীয় খণ্ড ছিল যে অনেকই আকৃষ্ট হইয়া তদীয় শিষ্যত্ব স্বীকার করেন; এমন কি কেহ কেহ তাহাকে “বঞ্চিতের দ্বিতীয় অবতার” বলিতে কুষ্ঠিত হইতেন না। ইনি ১১০ বৎসর জীবিত ছিলেন বলিয়া উল্লেখিত আছে। ইহার পাঁচ পুত্র, তন্মধ্যে তিন জন বংশ প্ৰবৰ্ত্তক, তাহাদের নাম রমাবল্লভ, জয়গোপাল ও দুৰ্ল্লভ ঘোষ। দুৰ্ম্মভের বৃদ্ধাবস্থায় দশসনা বন্দোবস্ত হয়। তাঁহাদের পূৰ্ব্বপুরুষের প্রাপ্ত নবাবি আমলের দানপ্রাপ্ত ভূমি ইহারই নামে একটি তালুকে এই সময় বন্দোবস্ত হইয়াছিল। রাধাবল্লভের অনেক গুণের কথা শুনা যায়। তাহার ভক্তি, তাহার পাণ্ডিত্য, তাহার শাস্ত্রজ্ঞান ও সঙ্গীতজ্ঞতা বিশেষ উল্লেখযোগ্য; তাহার বিবিধ গুণে সৰ্ব্বসাধারণ তৎপ্রতি বিশেষে অনুরক্ত ছিল; এবং তদীয় শিষ্যত্ব স্বীকারে সেই অনুরাগের প্রমাণ দিয়াছিল। ইনি ৯৬ বৎসর জীবিত ছিলেন। রাধাবল্লভের পুত্র আনন্দিচান্দের বাল্যকাল হইতেই দেবদ্বিজে প্রগাঢ় ভক্তি ছিল। সেই সময় হইতেই তিনি খেলাছলে দেবতাস্থাপন, দেবতা অৰ্চ্চন ও তাঁহাদের বিসৰ্জ্জনাদি করিতেন। সেই ভক্তির অঙ্কুর কালে বিবৰ্দ্ধিত হইয়া ফল ফুল ভারাক্রান্ত মহাবৃক্ষে পরিণত হইয়াছিল; সমাজের বহুতর শ্রেষ্ঠ পুরুষ তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার করেন। ইহার শিষ্য সংখ্যা ইয়ত্তা রহিত, ইনিও একশতের উৰ্দ্ধকাল জীবিত ছিলেন। আনন্দিচান্দের চতুর্থ পুত্রের নাম নিত্যনন্দ। সমগ্র গীতা ও ভাগবতের দশম স্কন্ধ তাহার কণ্ঠস্থ ছিল, ইনি এবংশের অত্যুপ্রল্য নক্ষত্র, চতুর্থ ভাগে তার জীবনী কীত্তিত হইবে। বিখ্যাত সঙ্গীত রচয়িতা কবি গোলক চাদ তাঁহারই জ্ঞাতি সম্পর্কিত ভ্রাতা। নিত্যানন্দের পুত্রের নাম কৃষ্ণ কিশোব, তাহার পুত্র হইতে আমরা শিবানন্দ বংশকথা ও এই বংশ বিবরণ প্রাপ্ত হইয়াছে ॥১৬ বঞ্চিত ঘোষ | | | | মহেশ্বর པཱ་ཟ་ཀ་། জগন্নাথ বলরাম শিশু অজ্ঞান | | রাধাবল্লভ রাজবল্লভ বাণীনাথ | | | | রামবল্লভ ব্ৰজনাথ | | রমাবল্লভ জয়গোল প্রভৃতি কৃষ্ণকান্ত বালানন্দ ! . | – আনন্দিচাদ জগন্নাথ প্রভৃতি কবি গোলক চাদ গোলকচন্দ্র | (নিমাই পণ্ডিত) ক্ষেত্রনাথঘোষ গজেন্দ্রচন্দ্র | কৃষ্ণকানাথ ঘোষ | দ্বারকানাথ ঘোষ ১৬. ১৩১৬ বাং ২৩শে অগ্রাহায়ণের আনন্দ বাজার পত্রিকায় আমাদের লিখিত প্রবন্ধ হইতে কোন কোন অংশ গৃহীত হইয়াছে।