পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 মংবাদ শত্রে সেকালেনর কথা ( ৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৩৭ । ১৫ আশ্বিন ১২৪৪ ) ডাক্তর মিল –সংস্কৃত বিদ্যায় নিপুণ অতিপ্রসিদ্ধ শ্ৰীযুত ডাক্তর মিল সাহেব এইক্ষণে ভারতবর্ষহইতে স্বদেশে গমন করিবেন কিন্তু পুনর্ভারতবর্ষে তদীয়াগমন সম্ভাবনা নাই।. তিনি সংস্কৃত শাস্ত্রে যেমন পারগ তদ্রুপ ইঙ্গলওঁীয় অপর কোন সাহেবই নাই । উক্ত সাহেব আসিয়াটিক সোসৈটির বহুকালাবধি অলঙ্কার স্বরূপ ছিলেন এবং ঐ সোসৈটি এই নিশ্চয় করিয়াছেন যে শ্ৰীযুত সাহেব ইঙ্গলগু দেশে সমুত্তীর্ণ হইলে তাহার ছবি প্রস্তুত করা যায় এবং ঐ ছবি সোসৈটির অট্টালিকায় নিত্য দৃশুমান থাকে। ঐ সোসৈটির বৈঠকে যখন এই বিষয় উত্থাপিত হইল তখন সেক্রেটরী শ্ৰীযুত প্লিন্সেপ সাহেব শ্ৰীযুত ডাক্তর মিল । সাহেবের অত্যাশ্চৰ্য্য বিদ্যা নৈপুণ্যবিষয় উত্থাপনপূর্বক নীচে লিখিতব্য প্রস্তাব প্রকাশ করিলেন তাহাতে সকলই অবগত হইতে পারিবেন যে এতদেশীয় পণ্ডিত মহাশয়রা তাহার . বিদ্যাবিষয়ে কি পৰ্য্যস্ত বিবেচনা করেন। k শ্ৰীযুত ডাক্তর মিল সাহেব সংস্কৃত শাস্ত্রে কিপর্য্যন্ত পারদর্শী তদ্বিষয়ে পণ্ডিতেরদের অভিপ্রায় অবগত হইলাম যে শ্ৰীযুত ডাক্তর মিল সাহেব স্বীয় রচিত কোন এক প্রস্তাব তিন চারি জন পণ্ডিতের বিবেচনাদ্ধার সংশোধিত না হইলে মুদ্রাঙ্কিত করিতেন না । অতিবিচক্ষণ এক জন শ্ৰীযুত কমলাকান্ত বিদ্যালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্যকে জিজ্ঞাসা করিলাম যে সাহেবের পাণ্ডিত্যবিষয়ে আপনি কি রূপ বিবেচনা করিয়াছেন তাহাতে তিনি কহিলেন যে তদ্বিষয়ে আমার বিবেচনাসিদ্ধ বর্ণন আপনাকে এক শ্লোক দ্বারা জ্ঞাপন করি সেই শ্লোক আমার নিকটে আছে তাহাতে আমি বোধ করি ঐ শ্লোক শ্ৰীযুত ডাক্তর মিল সাহেবের সংস্কৃত বিদ্যাপারগতার প্রমাণ ভূষণোপাধি স্বরূপ। তাহাতে ঐ পণ্ডিত লিখেন যে আমারদের সংস্কৃত শাস্ত্রাভিজ্ঞ এমত এক জন কোথায় দুষ্টচর যে নিয়ত সংকবিত্বাস্থশীলনীয় অতিপূৰ্ব্বকালীন মহাকবিকৃত কাব্যের ন্যায় এক কাব্যের স্বষ্টি করিয়াছেন অতএব বোধ হয় ইনি দ্বিতীয় কালিদাস হইবেন । ( ৯ ডিসেম্বর ১৮৩৭ । ২৫ অগ্রহায়ণ ১২৪৪ ) ডাক্তর মাস মন সাহেবের লোকাস্তর।—আমরা অত্যন্ত খেদার্ণবে মগ্ন হইয়া প্রকাশ করিতেছি যে ৬প্রাপ্ত ডাক্তর কেরি এবং ওয়ার্ড সাহেবের সহকারি শ্রীরামপুরস্থ ডাক্তর মাস মন সাহেবের কাল হইয়াছে। এতদ্দেশীয় প্রায় তাবল্পোক সাহেবকে এমত স্বজ্ঞাত আছেন যে র্তাহার গুণ ও বিদ্যালোচনায় শ্রাস্ততাবিষয়ক বর্ণনের প্রায় কিছু আবশ্বকতা নাই। যে তিন মহানুভব ব্যক্তির দ্বারা শ্রীরামপুর স্থান সৰ্ব্বসাধারণের স্বগোচর হইয়াছে তাহারদের মধ্যে এই শেষ মহাত্মার শেষ লোকগমন হইল। ইহার বার মাস পূৰ্ব্বে সাহেবের তাবৎ মানসিক ও শারীরিক শক্তি সম্পূর্ণ ছিল। কিন্তু গত বৎসরের অক্তোবর মাসে র্তাহার পরিবারঘটিত একটা দুর্ঘটনাবিষয়ক অমুশোচনেতে মনের এমত বৈকল্য