পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૭૭ মংবাদ পত্রে মোকালের কথাt ও স্পেসিয়ল কমিস্তনরির হাকীমান ঐ লাখেরাজ এলামাত মহাল রেজষ্টরি না হওয়া ওজরে সরকার বাহাদুরের পক্ষে ডিক্ৰী করিয়াছেন হাকীমানের এপ্রকার দৌরাত্ম্যেতে ঐ খরিদাবস্তু যাহা সরকার বাহাদুর বিক্রয় করিয়া বয়নামাতে পুরুষানুক্রমে ভোগ দখলের অনুমতি ও কোন প্রকারে কোন হেতুবাদে তাহার বাধা জনক কখন হইবেক না লিখিয়া দিয়া ঐ বস্তু । আরবার অন্যায় আচরণে আমাকে বেদখল করেন এবিধায় নিবেদন আপনি অনুমোদনপূর্বক আমার এই মোকদ্দমার বৃত্তান্ত ভূম্যধিকারি সভাতে পৰ্য্যাপ্ত করিয়া সোসাইটির দ্বারা বিলাতে আপীল করিয়া উক্ত বিষয়ের স্বসিদ্ধ করিয়া দেন তাহাতে যে ব্যয় ব্যসন যথার্থ হইবেক আমি তাহা স্বীকার পাইব সবিশেষ আমার এখানকার কৰ্ম্মাধ্যক্ষ শ্ৰীযুত দেবীপ্রসাদ রায়জীউ নিবেদন করিবেন নিবেদন মিতি । ১২৪৫ সাল ২৪ আষাঢ় । শ্রীরাণী কাত্যায়নী । ( ১৮ আগষ্ট ১৮৩৮ । ৩ ভাদ্র ১২৪৫ ) § রষ্টমজী কওয়াসজীর পরিবার —আমরা শুনিয়া আহ্নাদিত হইলাম যে আমারদের সহবাসি শ্ৰীযুত রষ্টমজী কওয়াসজীর শ্ৰীমতী সহধৰ্ম্মিণী বোম্বাইহইতে সমুদ্রপথে সম্প্রতি কলিকাতায় আসিয়াছেন যে রূপ হিন্দু ও মোসলমানের স্ত্রীলোকেরা সমুদ্র পথে জাহাজে গমনার্থ অনিচ্ছু তদ্রুপ পারসীয় স্ত্রী লোকেরাও বটেন অতএব দেশীয় রীতির বিরুদ্ধে এই প্রথম এক জন স্ত্রী তদ্রপ জাহাজারোহণে আগমন করিয়াছেন । ফলতঃ এমত সাহসী হইয়া দেশীয় কুব্যবহার যে পরিত্যাগ করিয়াছেন ইহাতে রষ্টমজী মহাশয়ের অত্যন্ত প্রশংসা হইয়াছে । ( ১৮ আগষ্ট ১৮৩৮ । ৩ ভাদ্র ১২৪৫ ) আমরা অতিশয় খেদপূর্বক প্রকাশ করিতেছি যে মেদিনীপুরের বিদ্যালয়ের সম্পাদক যে লেপটেনেণ্ট টা প্রাই সাহেবের মৃত্যু হইয়াছে এবং আসামের সদরে সন্থর যে যজ্ঞরাম খরঘরিয়া ফুককন তিনিও মরিয়াছেন ইহারা উভয়েই উত্তম বিদ্বান ছিলেন । [ জ্ঞানান্বেষণ ] ( ২৫ আগষ্ট ১৮৩৮ । ১০ ভাদ্র ১২৪৫ ) - মুর্শিদাবাদের রাজা – প্রাপ্ত রাজা উদ্বন্ত সিংহ বাহাদুরের পোন্ত পুত্র শ্ৰীযুত রাজা রামচন্দ্র বাহাদুর কিয়দিবস হইল লক্ষ্মণেীস্থ শ্ৰীযুত নবাব মমতাজদ্দৌলা বাহাদুর সমভিব্যাহারে কলিকাতা মহানগর দর্শন কুণরণ আগমন করেন । - o, ( ৮ ডিসেম্বর ১৮৩৮ । ২৪ অগ্রহায়ণ ১২৪৫ ) অতিখেদ পূর্বক প্রকাশ করিতেছি যে বাবু রামধন সেন সম্প্রতি লোকান্তর গত হইয়াছেন তিনি এতদ্দেশীয় লোকেরদের মধ্যে একজন বিলক্ষণ বিদ্বান অথচ এতদ্দেশীয় ভাষায় অনেক