পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংবাদ পত্রে লেকালের কথা وفا4e স্থায়শাস্ত্রাধ্যায়িনাং ছাত্রাণাং ...আমারদিগের দুর্ভাগ্যবশতঃ কেবল সংস্কৃত পাঠশালাতেই ইংরাজিভাষাধ্যয়নের রীতি উঠিয়া গিয়াছে কিন্তু মাদশাতে উক্তভাষাধ্যয়ন ক্রমে বৃদ্ধি হইতেছে ইহাতে কেবল আমারদিগেরই দুর্ভাগ্য বলিতে হইবেক নতুবা যে রাজা এতদ্দেশে ইংরাজি বিদ্যাবৃদ্ধ্যর্থে যত্নপূর্বক বহুতর ধন ব্যয় করিয়া বিদ্যালয় সংস্থাপন করিতেছেন তাহার যে কেবল এতন্মহানগরস্থ প্রধান বিদ্যালয়ের ছাত্রদিগের উক্তভাষাভ্যাসবিষয়ে অমনোযোগ হইয়াছে ইহা কোনরূপেই সম্ভব নহে অতএব এইক্ষণে প্রার্থনা যে অনুগ্রহপূর্বক রীত্যনুসারে আমারদিগের ইংরাজিভাষাভ্যাসের অমুমতি প্রকাশ হয় তাহা হইলে ক্রমে রাজকীয় কাৰ্য্য ও শিল্পাদি বিদ্যা জানিয়া লৌকিক কাৰ্য্য নির্বাহে সমর্থ হইতে পারি ইতি—লিপিরিয়ং জ্যৈষ্ঠসাষ্ট দিবসীয়— ১৮৩৯ সনে স্কায়-শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে ঈশ্বরচন্দ্র একটি রচনা-প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করিয়াছিলেন ( এই পুস্তকের পৃ. ১২ দ্রষ্টব্য ) । তিনি তাহার ‘সংস্কৃত রচনা’ পুস্তকে লিখিয়াছেন – “পশ্চিম অঞ্চলে, সাহারাণপুরের] জন মিয়র নামে, এক অতি মহামুভাব সিবিলিয়ান ছিলেন । ঐ মাননীয় বিদ্যোৎসাহী মহোদয়ের প্রস্তাব অনুসারে, পুরাণ, সুর্য্যসিদ্ধাস্ত, ও যুরোপীয় মতের অনুযায়ী ভূগোল ও খগোল বিষয়ে, কতকগুলি শ্লোক লিখিয়া, একশত টাকা পারিতোধিক পাইয়াছিলাম।” (পৃ. ১৬ ) এই সকল শ্লোক বিদ্যাসাগর-রচিত ভূগোলখগোলবৰ্ণনম্ পুস্তকে মুদ্রিত হইয়াছে। কিন্তু এই পুরস্কারের পরিমাণ ছিল ৫০২—এক শত টাকা নহে । সংস্কৃত কলেজের নথিপত্রের মধ্যে ১৮৩৯-৪০ সনের বার্ষিক পরীক্ষার পারিতোষিকের কোন তালিকা পাই নাই, এই কারণে স্থায়-শ্রেণীর ছাত্ররূপে ঈশ্বরচন্দ্র কোন কোন বিষয়ে পারিতোষিক পাইয়াছিলেন, তাহা জানিতে পারি নাই । শম্ভুচন্দ্র লিথিয়াছেন, তিনি “দর্শনের প্রাইজ ১০ •২ টাকা পান, এবং সংস্কৃত কবিতা-রচনায় সৰ্ব্বাপেক্ষ ভাল কবিতা লিখিয়া ১০০ টাকা পুরস্কার প্রাপ্ত হন।” “বিদ্যার প্রশংসা" নামে সংস্কৃতে একটি পদ্য রচনা করিয়া ঈশ্বরচন্দ্র প্রতিযোগিতায় এক শত টাকা পাইয়াছিলেন —এ কথা তিনি নিজেই সংস্কৃত রচনা’ পুস্তকে লিখিয়া গিয়াছেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮৪১ তারিখে নিমাইচন্দ্র শিরোমণির মৃত্যু হইলে সৰ্ব্বানন্দ স্তায়বাগীশ কিছু দিন BBB BB BBBBBBS BBBBBB SSS BB BB BBBS BBB DDBBBB BBBBBBB মাসিক ৮০২ বেতনে স্থায়ী ভাবে স্তায়-অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত হন । ঈশ্বরচন্দ্র স্থায়-শ্রেণীতে দ্বিতীয় বৎসর ( ১৮৪০-৪১ ) প্রধানতঃ জয়নারায়ণেরই নিকট অধ্যয়ন করিয়াছিলেন । স্তায়-শ্রেণীতে র্তাহাকে ভাষাপরিচ্ছেদ, সিদ্ধান্তমুক্তাবলী, স্থায়ত্বত্র, কুসুমাঞ্জলি ও শব্দশক্তিপ্রকাশিকা পড়িতে হইয়াছিল। ১৮৪০-৪১ সনে স্থায়-শ্রেণীর দ্বিতীয় বার্ষিক পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্র একাধিক বিষয়ে পারিতোষিক পাইয়াছিলেন ; স্থায়ের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করিয়া নগদ ১০ ০২, পদ্যরচনার জন্ত ১• •২, দেবনাগর-হস্তাক্ষরের জন্য ৮২, এবং বাংলায় কোম্পানীর রেগুলেশ্বন বিষয়ে পরীক্ষায় নগদ ২৫২