পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা जभांख्कि निश्द्धि) VN)) দেশটা অত্যন্ত রকমের স্বাত্ত্বিক ভাবাপন্ন বলেই হয়ত অনেকে এই প্ৰাণবিহীনতাটাকে গাম্ভীৰ্য বলে’ ধরে নিয়ে যথারীতি এবং যথাস্থানে পূজা এবং দক্ষিণাদি দিয়ে থাকেন ! এইজন্যেই হয়ত “দৈনিকে” যার আলোচনা হওয়া উচিত, আমরা “মাসিকে” তার সম্বৰ্দ্ধনা করি ; আর “মাসিকে” যা চুকে গেলেই হ’ত, আমরা আবার তার আট আনা, এক টাকা, পাচসিক, সাতসিক সংস্করণে ঘর আলো করি। এক্সি করে আমাদের সাহিত্যের ধারের চেয়ে তার ভার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। ওষুধের নামে খোজ নেই, অনুপানের হাঙ্গামায় অস্থির। ( ७ ) নৌকায় বসে বসে গুণের দািড়দিড়ি ধরে প্রাণপণ টানাটানি করলেও নৌকার গতিশীল হবার কোনো সম্ভানাই নেই !=আছে মাস্তুল এবং গুণের গতালু হবার পরিপূর্ণ আশঙ্কা। সাহিত্যিক যদি নিজের মনকে সমাজের অতীত অনধিগত সুরে বেঁধে নিতে না পারেন তবে সাহিত্যের শিব গড়তে না যাওয়াই তঁর পক্ষে বিধেয় । কারণ তাতে করে” খুব সম্ভব সমাজের কল্যাণ হবে ; কিন্তু সাহিত্যের অবমাননা হবেই। মনুষ্য-সভ্যতার চরম পরিণতি, আর তার বিকাশের স্বাভাবিক ধারা সাহিত্যিকের চক্ষে যে আকারে প্রতিভাত হবে, সেই হবে তার সমাজ । তার সমস্ত সামাজিক প্ৰবৃত্তি এবং প্রবণতা, নতি এবং রুচির ঝোঁক হবে সেই দিকে। তার চেয়ে ছোটো, তার চেয়ে সঙ্কীর্ণ কোন সমাজের বিধি নিষেধ তার মনেই আসবে না-সাহিত্য 忘》电