কি জানি। কাল চাকরী থাকবে কি যাবে দেখেই সেটা বোঝা যাবে। খোকার রাগ তুমি জান না। ব’লে মমতাদি ঘরে চলে গেল।
নগেন ধপ করে আমার পাশে বসে পড়ল। গলা নীচু করে বলল, চুপি চুপি না হয় তোমার পা ধরছি ভাই, রাগ রেখোনা। আমি না বুঝে বড্ড দোষ করেছি। অনুতাপে এখন আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। মাইরি বলছি। কালীর দিব্যি।
তার চোখ ছল ছল করতে লাগল। আমার অবশ্য আর রাগ রইল না, কিন্তু কি বলব ভেবে না পেয়ে চুপ করে রইলাম। নীরবতাকে রাগ মনে করে সে হঠাৎ নিজের কান মলে কাতর স্বরে বলল, বাড়ীতে বোলোনা ভাই, মরে যাব। তোমার দিদি পর্য্যন্ত যে উপোস করবে রে দাদা।
আমি তাড়াতাড়ি জানালাম যে রাগ করিনি, বাড়ীতেও বলব না। শোনামাত্র তার সব কাতরতা দূর হয়ে গেল। অনুযোগ দিয়ে বলল, তুমি বড় নিষ্ঠুর ভাই! পায়ে ধরালে কান মলালে তবে ক্ষমা করলে। তুমিই বল, শুধু ক্ষমাতে কি এখন আমার মন ওঠে? ক্ষমার সঙ্গে একটু দয়াও ক’রে ফ্যালো, আমার সব দুঃখ দূর হয়ে যাক। বেশী নয় ভাই, একটু দয়া। যৎসামান্য।
কি বলুন?
বলছি। কিন্তু মনে রেখো আমার জন্য চাইছি না দয়া। তেমন পাত্র আমি নই। নিজের দুঃখের কথা আমি কাউকে বলি না। কার জন্য দয়া চাই জান? তোমার ওই দিদির জন্য। ওর বড় লজ্জা, তাই মুখ ফুটে বলতে পারে না, আমার কাছে কাঁদে আর বলে, পনের টাকায় কুলোয় না, কি করি আমি, একদিন বিষ খেয়ে মরে যাব। মাইরি, ও