পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুব্যাখ্যা ةپهخ ধৰ্ম্ম পরব্রহ্মেরই প্রত্যক্রূপত্ব হেতু স্বপ্রকাশিত্ব ব্লীকাৰ্য্য। ইহারা জড় নহেন। কেন না, জ্যোতিধৰ্ম্ম শৌক্ল্যিাদির কখনও সন্ত মোক্কাপ হয় না। এই স্বপ্রকাশন্ধের ইন্দ্রিয় রূপ কারণাদি নাই। না থাকিলেও স্বরূপ দ্বারায় ইন্দ্ৰিয়সমূহকে প্রকাশ করিয়া ভগবদৈশ্বৰ্য্যাদি ইন্দ্ৰিয়া- * দিতে স্বীয় প্রকাশমানত্ব ’প্ৰকটন করেন। কোন কোন স্থলে ইন্দ্ৰিয়বিহীন অচেতনেও 。 তাহার প্রকাশ-সংবাদ শ্রত হওয়া যায়। শ্ৰীমদ্ভাগবতে দশম शूक ७४ अक्षाप्ख्न লিখিত • হইয়াছে যে, বনে প্রবেশ করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ যখন গিরুিতটবিচরণশীল গাভীদিগকে বেণুর গানে আহ্বান করেন, তখন ভার হেতু নম্রশাখ পুষ্পফলাঢ্য তরু ও বনলতাসমূহ প্রেমে পুলকি তাঙ্গ হইয়া মধুধারা বর্ষণ করে। ইহাতে তাঁহাঁদের মধ্যেও যেন বিষ্ণুর প্রকাশ বিজ্ঞাপিত হয়। ইহার পরের শ্লোকটিও এই ভাবাত্মক । উহার অর্থ এইরূপ,- বনমালার মধ্যস্থিত দিব্যগন্ধা তুলসীর মধুগ্রহণে মত্ত হইয়া ভ্রমরগণ যখন মনুকুল উচ্চ-গান করে, তখন তাহদের সমাদর করার জন্যই যেন সৰ্ব্বসুন্দর শ্ৰীকৃষ্ণ যখন বংশী গ্ৰহণ করেন, তখন সরোবরন্থ সমস্ত সারস ও অন্যান্ড বিহঙ্গমগণ মনোহর গানে সানন্দ হৃদয়ে সমাগমন করিয়া, সংযতচিত্তে নিমীলিত নয়নে নীরবে: তাহার উপাসনা করে। ১০ম স্কন্ধের ৩৫ অধ্যায়ের ৭ম শ্লোকেও এই ভাব সুচিত হইয়াছে। তদৰ্যথা,-সখীগণ, গোবিন্দ, বলরাম ও গোপালগণের সহিত ময়ূরপুচ্ছ, ধাতু ও পলাশ দ্বারা মল্লাবে শানুকারী বেশ ধারণ করিয়া যখন গোগণকে আহ্বান করেন, তখন পবন-চালিত তদীয় BDBDBDBBDSDD DBB DDBDDBDB BD DDD S পরা বিজ্ঞার অভিব্যঞ্জকতা হেতু ভগবিশিষ্ট ভগবানের স্বপ্রকাশিত্ব সম্বন্ধে শ্ৰীবিষ্ণুপুরাণে অতি স্পষ্ট প্রমাণ আছে। বিষ্ণুপুরাণের ৬৫৫৯ শ্লোকের অর্থ এই যে, যে সুখে অতিশয় আহলাদ নিয়ন্ত হইয়াছে, এতাদৃশী একান্ত আত্যন্তিকী সুখভাব্যলক্ষণ ভগবৎপ্রাপ্তিই ভবরোগের একমাত্ৰ ঔষধ। শ্ৰীধর স্বামিপাদের ব্যাখ্যার মৰ্ম্ম এইরূপ,-নিরন্ত হইয়াছে অতিশয় আহ্লাদ-নিবৃতি যে সুখে, উহাই নিরস্তাতিশয় হলোদ সুখ। তদ্ভাব-তদাত্মত্ব। = তদাত্মত্বই হইয়াছে লক্ষণ যে ভগবৎপ্রাপ্তির, তাহাই নিরস্তান্তিশয় সুখ্যম্ভাব্যলক্ষণ ভগবৎপ্রাপ্তি। উচ্ছা, একান্তা অর্থাৎ ভগবান্নিষ্ঠােমাত্রেই উহা অবশ্যম্ভাবিনী। ঋত্বিকাদির বৈগুণ্য দ্বারা কৰ্ম্মফল যেমন প্ৰণষ্ট হয়, উস্থা তদ্রুপ নহে। উহা আত্যন্তিকী অর্থাৎ নিত্যা। তন্ধোতু পণ্ডিত ব্যক্তিগণ তৎপ্রাপ্তির জন্য অবশ্য যত্ন করিবেন। হে মহামুনে, তৎপ্রাপ্তির হেতু স্বরূপ জ্ঞান ও কৰ্ম্ম শাস্ত্ৰে উক্ত হইয়াছে। শ্ৰীধর স্বামিপাদ ব্যাখ্যায় লিখিয়াছেন-ম্বন্ধু সাধনবিষয়ক । তাই মূল শ্লোকে সাধনের উপ ■ ܢܸܐ দেশ বলা হইয়াছে। সত্ত্বশুদ্ধি দ্বারা জ্ঞানলাভ হয়। সেই জ্ঞান বিবিধ ; যথা মূলে-এই জ্ঞান আগমোখ ও বিবেকোখ। এই উভয়ের ব্যাখ্যা করা হইয়াছে।--শব্দব্ৰহ্ম আগমময় এবং পরব্রহ্ম-বিবেকাজ । স্বামি পাদ-ব্যাখ্যা করিয়া বুলিতেছেন, ‘আগমময়’-আগমোখ জ্ঞান। শব্দে অর্থাৎ শ্রুতিতে আছে,-“ব্ৰহ্ম-সত্য, জ্ঞান ও অনন্ত’ ইত্যাদি শব্দ হইতে যে ব্ৰহ্ম উপদিষ্ট হইয়াছেন, উহা শ্রবণজ জ্ঞান-সুতরাং ত্যাহা আগমোখ। দেহাদিজ্ঞান হইতে ?