পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NESR o পরমাত্মসন্দর্ভের জল শুদ্ধ জলে মিশিয়া যেমন তোহার অন্তর্ভূত হয়, হে গোতম, তত্ত্বজ্ঞা, মুনির আত্মাও সেইরূপ ব্ৰহ্মে সাযুজ্য-মুক্তি লাভ করে (কাঠ উ, ৪।১৯৫)। তথাহি স্কন্দপুরাণে-“জলে যেমন জল মিশিয়া যায়, সেইরূপ বুদ্ধির ব্যঞ্জন্বিতা জীবাত্মাও পরমাত্মায়ু সাযুজ্য লাভ করেন। কিন্তু স্বাতন্ত্র্যানি । বিশেষণে জীবের কোন স্বাতন্ত্রা নাই (জীব পরমেশ্বরের অধীন), ব্ৰহ্ম ঈশানাদি দেবগণ ও হরির অধীন, তাহারাও কৈবল্য (স্বাতন্ত্র ) লাভ করিতে পারেন না। কেবল হরিই স্বতন্ত্র । শ্রীরামানুজ-ভায্যেও লিখিত হইয়াছে, সাধন অনুষ্ঠান দ্বারা অবিস্তা-নিন্মুক্ত পুরুষের , পক্ষেও পরব্রহ্মের সহ স্বরূপৈক্য লাভ অসম্ভব। অবিদ্যার আশ্রয়োপযোগী জীবের তদযোগ্যতা 학g 1 = বিষয়ে যুক্তিও প্রদর্শিত হইয়াছে। মুক্তের তদ্ধৰ্ম্মমাত্র লাভ হয়। ভগবদগীতায়,-“এই জ্ঞানকে আশ্ৰয় করিয়া যাহারা আমার সাধৰ্ম্ম্য প্রাপ্ত হন, তাহারা স্বষ্টিকালেও আর জন্ম গ্ৰহণ করেন না, প্রলয়েও তঁহাদিগকে ব্যথিত হইতে হয় না” ( ১৯৭২ ) { শ্ৰীবিষ্ণুপুরাণে এ সম্বন্ধে যে প্রমাণ আছে, তাহা এই,- তত্ত্বাবভাবমাপন্নস্তদাসীে পরমাত্মনা। ভবত্যভেদো ভেদশ্চ তন্তাজ্ঞানকৃতো ভবেৎ। ॥-( বিষ্ণুপু, ৬.৭৯৫ ) । অর্থাৎ এই জীব गूढ विश्ग्र अबमों द्वia সহিত সাযুজ্য লাভ করিয়া তদভাবাপন্নস্বভাববিশিষ্ট হইয়া অভেদ হয়েন । ভেদ জীবের অজ্ঞানকৃত । শ্ৰী ভাষ্যকার ইহার ব্যাখ্যা করিতে ছেন ; যথা,-মুক্তর স্বরূপ বলা হইতেছে। তদ্ভাব’ পদের অর্থ ব্রহ্মের ভাব, স্বভাব মাত্র ; কিন্তু স্বরূপৈক্য নহে। ‘তত্ত্বাবভাবমাপন্ন’ এই সমস্ত পদের দ্বিতীয় ভােব শব্দ অন্বয়বিহীন। পরমাত্মার ভাব-অপাপবিদ্ধতান্দি ; ইহাই হয় স্বভাব র্যাহার, এইরূপ বহুব্রীহি সমাস-নিষ্পন্ন পদটির অর্থ-ব্রহ্মস্বভাবকত্ব জীব এই প্রকার স্বভাব দ্বারা পরমাত্মার সহ অভেদী অর্থাৎ তুল্য হয়, এ বাক্যের ইহাই অভিপ্ৰায়। পরমাত্মস্বভাববিরোধী দোষযুষ্টাদি ভেদ জীবের অজ্ঞানকৃত । জীবাত্মা যে আবিভূতিস্বরূপ, ছন্দোগ্যের একটি শ্ৰী'ত পাঠেও তাহা জানা যায়। সে, শ্রীতিটির তাৎপৰ্য্য এইরূপ,-“এইরূপ এই সুষুপ্ত, সম্যক প্রসন্ন আত্মাও এই শরীর হইতে পৃথক হইয়া অভিব্যক্তি হয়েনি। ঐভিব্যক্তিকালে ইঙ্গার একটি নিজ রূপ লাভ হইয়া থাকে।”— ছাঃ উঃ, ৮১২)। এ সম্বন্ধে একটি মুণ্ডক-শ্রুতির তাৎপর্য এই যে, সেই সময়ে বিদ্বান পুণ্য-পাপ ত্যাগ করিয়া নিরঞ্জনরূপে পরম সাম্য প্রাপ্ত হয়েন।--(মুণ্ডক,৩১৩)। বিষ্ণুপুরাণেও লিখিত হইয়াছে যে, "চুম্বক যেমন লৌহকে আকর্ষণ করিয়া নিজের দিকে টানিয়া লয়, সেইরূপ ব্ৰহ্মও बौो”ख्-ि প্রভাবে বিকাৰ্য ব্ৰহ্মানুধ্যায়ী উপাসককে আপনাতে আকর্ষণ করিয়া লয়েন।”- বিষ্ণুপু, ৬৭৷৩০)। এ স্থলে ভেদ প্রদর্শনই অভিপ্রেত হইয়াছে।। ৭ স্থলে কেহ কেই (मई 6झंtएक त्र আকর্ষক শব্দের অর্থ করেন—অগ্নি। তাহাদের ব্যাখ্যা এই যে, আকর্ষক অগ্নি যেরূপ স্বীয় শক্তি দ্বারা বিকাৰ্য্য (অন্যরূপে বিকারযোগ্য) লৌহের দোষ বিনষ্ট করিয়া আত্মভাব প্রাপ্ত করায়, সেইরূপে ব্ৰহ্মও স্বীয় শক্তিপ্রভাবে উপাসকগণকে অগ্নিভাব-আত্মকভােব প্রাপ্ত করান। শ্ৰীধর স্বামী। কিন্তু এ স্থলে ག Digitized at BRCin dia Com H