পাতা:সাধুচরিত.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qe সাধু-চরিত । যখনি নিত্য নৈমিত্তিক শত শত গৃহকাৰ্য্যের ভিতরে তাহাদের অদৃশ্য হস্ত দেখিতে পাইতেন, অশনে বসনে দ্রব্যসামগ্রীতে তাহীদের দুঃখময় স্মৃতি প্রাণে প্রাণে অনুভব করিতেন, তখনি অন্তরের অন্তরতম প্রদেশের রুদ্ধদ্বার সবলে মুক্ত করিয়া করুণ ক্ৰন্দনধ্বনি বাহিরে আসিতে চাহিত । যাহারা অকালে সন্তান হারাইয়া পার্থিব সুখে বীতরাগ হইয়া করুণাময় ভগবানের কৃপাকণার ভিখারী হইয়াছেন, তাহার চরণযুগল সাগ্রহে বক্ষে চাপিয়া ধরিয়া শোকশঙ্কু উন্মুলাত করিতে সচেষ্ট হইয়াছেন, তাহাদের জীবন-চরিত আলোচনা করিয়া প্রাণে শান্তি অনিয়ন করিতেন । কখনও শোকবিহবলা পত্নীকে মধুর বচনে বুঝাইতেন, “তোমার দুঃখ করিবার কারণ নাই । যথাসাধ্য চিকিৎসা করিয়া তুমি যখন কাহারও বিন্দুমাত্র যন্ত্রণার লাঘব করিতে সমর্থ হইলে না, দিবারাত্রি শষ্যাপাশ্বে থাকিয়া ও অনুক্ষণ বহুপ্রকারে শুশ্রুষা করিয়াও তুমি যখন কাহাকেও অtরোগ্যের পথে আনিতে পারিলে না, তখন আর দুঃখ করিও না । দয়াময়ের অমৃতময় চরণতলে তাহারা আশ্রয় লইয়াছে, তথায় রোগ নাই, শোক নাই, দুঃখ নাই, দারিদ্র্য নাই—পার্থিব দুঃখ কষ্টের লেশমাত্রও তথাকার আনন্দপূর্ণ বায়ু স্পর্শ করিতে পারে না । তাহার। সেই আনন্দময় লোকে মঙ্গলস্বরূপের