পাতা:সাধুচরিত.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু-চরিত । אי "ט ক্ষুদ্র, মানুষ যখন দেখে চতুর্দিকস্থ মায়ামোহে, সংসারের সহস্র প্রলোভনে তাহাকে নিরন্তর আকর্ষণ করি য়। পদে পদে পদস্থলিত করাইতেছে, আপনার সমগ্র চেষ্টাতেও সে সহজ পথে অগ্রসর হইতে পরিতেছে না, তখন স্বীয় তুচ্ছশক্তির উপর আস্থাশূন্ত হইয়া বড় কাতরপ্রাণে ভগবানকে ডাকিতে থাকে । লাহিড়ী মহাশয় বুঝিয়াছিলেন র্তাহার জীবন শেষ হইয়। আসিয়াছে, আর সময় নাই, এই মুহূৰ্ত্তেই তাহার করুণাভিক্ষ না করিলে আর হইল না, তাই অনন্তচিন্ত্য হইয়া প্রাণের সমগ্র শক্তিতে তাহাকে ডাকিতে লাগিলেন,–হে নিরুপায়ের উপায়, আমার পঙ্কিল মন এ জনমে আর নিৰ্ম্মল হইল না । ক ত দিন অপেক্ষা করিয়া থাকিলাম, কই, মন ত অনাবিল হইল না । প্রভো, তোমার পুণ্যস্পর্শ ভিন্ন বোধ হয় এ মনের মলিনত উঠিল না । ভাবিয়ছিলাম শেষে মনের আবিলত। নষ্ট হইবে, কিন্তু জীবন ত শেষ হইয়া আসিল, তোমাকে ত তেমন করিয়া ডাকা হইল না । আজ আর কোন অtশায় অপেক্ষা করিয়া থাকিব ? অামার ডাক পড়িয়ছে, আর বিচার করিবার সময় নাই । দয়াময়, এ জীবন মন সমস্তই তোমার চরণে সমপণ করিলাম । এইরূপে ভগবানকে ডাকিতে ডাকিতেই চক্ষু মুদ্রিত হইল। ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দের ১৩ই আগষ্ট লাহিড়ী মহাশয় স্বগারোহণ করিলেন ।