পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV) जर्दिछझैभ পরমেশ্বর একটু হাসে। ; তুমি আমায় সংসারে জড়িয়ে ছাড়বে। : একটু না জড়ালে চলে না। আর । একলা আমি: বোঝা কমালেই পার | মহেশ্বরের মুখ দেখে পরমেশ্বর হাসিমুখেই আবার বলে, যাক, যাক। চিঠি পড়লেই বুঝতে পারা যায় বাবাজী বিগড়ে গেছেন। আগে অনেকবার নিয়েছে, না ? অনেকবার। আরও অনেকের কাছে ধার করেছে । চিঠি লেখার ধরণ থেকে সেটা অনুমান করেছি। এ ব্যবসায়ে বেশ পাকা হয়ে না। উঠলে অনেকবার টাকা নেওয়ার পর এ রকম চিঠি লেখার ক্ষমতা হয় না-এ কায়দা সাধারণ লোকের খেয়াল হবার কথা নয় । মহেশ্বর নিঃশ্বাস ফেলে বলে, বিপদের কথাটা মিথ্যা ? : ঠিক মিথ্যা নয়। টাকার খুব দরকার-এটাই ওর আসল বিপদ -অন্য কোন বিপদ নেই। ভেবে চিন্তে বুদ্ধি খাটিয়ে চিঠিখানা লিখেছে। সাধারণ মানুষ সাধারণ ভাবে হঠাৎ বিপদে পড়লে বাধ্য হয়ে যদি লিখত।-সে। চিঠিই হত। অন্য রকম । লজা দুঃখ ফুটে বেরোত প্ৰত্যেক লাইনে-পড়লেই বোঝা যেত অনিচ্ছায় লিখেছে। কি করা যায় ? এ ভাবে টাকা দিলে তো আরও পেয়ে বসবে ? ; এক কাজ কর। পূজোয় ওদের আসতে লিখেছ-আজ কালের মধ্যে তুমি নিজেই চলে যাও। বলবে, বিপদের কথা পড়ে ছুটে গিয়েছ। -কি বিপদ কিছুই লেখেনি, কাজেই খুব ভাবনা হয়েছিল। বিপদের কথা একটা বানিয়ে বলবে- এসব লোক মিথ্যা বলতে ওস্তাদ হয়। এবারের মত টাকাটা দিও, ছেলে আর জামাই গোল্পায় গেলে খানিকটা বানৰাট