পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থাবলী ও রচনার নিদর্শন శ్రీఫి বস্তুর অস্তিত্ব নিরূপণ করিতে সমর্থ হয় না। যখন কোন জ্যোতিৰ্ব্বেত্তা চক্ষুর অদৃশ্ব কোন গ্রহের অস্তিত্ব নিরূপণ করেন, তখন মনুষ্ঠের পূর্ববিজ্ঞাত বস্তু হইতে সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন কোন বস্তু নিরূপণ করেন না। যখন ভূতত্ত্ববেত্ত পৃথিবীর গর্ভস্থিত মনুষ্ঠের অগম্য প্রকাণ্ড জ্বলন্ত দ্র ধাতুপিণ্ডের অস্তিত্ব নিরূপণ করেন তখন মনুষ্ঠের পূৰ্ব্ববিজ্ঞাত বস্তু হইতে সম্পূর্ণরূপে স্বতন্ত্র বস্তু নিরূপণ করেন না। অতএব প্রমাণ হইতেছে যে যুক্তিদ্বারা আমরা কোন মূল ভাব উপার্জন করিতে পারি না । সহজ-জ্ঞান দ্বারা আমরা যে সকল পদার্থ জানিতে সক্ষম হুই, কল্পন। সেই সকল পদার্থকে অবলম্বন করিয়া স্বীয় সংযোজন, বিয়োজন, প্রসারণ ও আকুঞ্চন শক্তি সকলের সহকারে কাৰ্য্য করে । স্বর্ণময় পৰ্ব্বত, স্কন্ধহীন দানব, প্রকাগু আক" দৈত্য, অস্কৃষ্ঠপরিমাণ মনুষ্ক এই সকল ভাব সহজ-জ্ঞান দ্বারা উপার্জিত ভাবে সংরচিত।” ( প্রথম ভাগ । উপক্রমণিকা-প্রত্যয় ও প্রত্যয়ের নিয়ুম ) । আত্মীয় সভার সভ্যদিগের বৃত্তান্ত। ১৮৬৭ ৷ এডিসনের অনুকরণে কয়েকটি চরিত্র-চিত্রণ । ইহা পরে "বিবিধ প্রবন্ধ" পুস্তকে সন্নিবেশিত হইয়াছে। প্রকৃত অসাম্প্রদায়িকতা কাহাকে বলে । ১৮৭৩ । হিন্দুধৰ্ম্মের শ্রেষ্ঠত । ১৮৭৩ ৷ ইহার ‘অনুক্ৰমণিকা’য় (১১ মাঘ ১৭৯৪ শক) রাজনারায়ণ বসু লেখেন : “বিগত ৩১ ভাদ্র দিবসে আমি জাতীয় সভায় হিন্দুধর্শের শ্ৰেষ্ঠতা বিষয়ে উপস্থিত মতে একটি বক্তৃতা করি । সেই দিবসের অধিবেশনে শ্রদ্ধাস্পদ স্ত্রীযুক্ত বাৰু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় সভাপতি ছিলেন । ঐ বস্তৃতা দিবার কিছু দিন পর যত দূর তাছা স্মরণ হইল