পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজকৃষ্ণ রায় ও বাংলা-সাহিত্য షిప్ কি ক’রবে ঘে—কি ব’ল্বে যে, কুল কিনার নাই । আঁৎকে উঠে-চ'মকে উঠে কঁাদচে সৰ্ব্বদাই ॥ একে রাতি, তাতে পতি মর-মক্স-প্রায় । নিস্তারিণীর কি যে হ’লো, ব’লবো তা" আর কায় । কে গো এমন ব্যথার ব্যর্থী ভূমণ্ডলে আছে। নিস্তারিণীর দুঃখের কথা ব’লবো গে তার কাছে ? বিধাতার এ স্মৃষ্টিমাঝে রকম রকম লোক । কেউ বা মুখে কালট কাটায়, কেউ বা করে শোক ॥ কেউ বা চড়ে গাড়ী ঘোড়া, কেউ বা পায়ে স্থাটে । কেউ শোয় গো ছেঁড় কাথায়, কেউ বা ছাপর থাটে । কারে পাতে ছান মাখন গড়াগড়ি যায় । কেউ বা চোকে ফেনে-ভাতে দেখতে নাহি পায় ॥ কেউ বা হাসে প্রাণটা ভ’রে, কেউ বা কেবল কাদে । ভিক্ষে করে কেউ, কেউ বা টাকার তোড়া বাধে । এমন আবার কেউ বা আছে, দীনের সে কেউ নয় । সাহেব সুবে চাইলে চাদ। কল্পতরু হয় | সাহেব যেন চোদপুরুষ, দেবৃত বাপের ঠাকুর । দেশী হয়ে দেশের লোকে ভাবে যেন কু: । খুব গোপনে দান ক’বৃবে বলে শাস্ত্রকারে । ডান হাতের দান বঁ হাত যেন জানতে মাতি পারে । তেমনৃতর বাঙলা দেশে ক'জন করে দান ? তেমন্তর বাঙলা দেশে কয় বাঙালির প্রাণ ? গেজেটেতে নাম উঠবে, প’ড়বে লাটের চোকে । দাতা বাবু রাজা’ খেতাব পাবেন হাসিমুখে ॥ 'রায় বাহাদুৰ্ব’ কেউ বা হ’বেন, কেউ বা ‘মহারাজ ।