পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত-স্মৃষ্টি সম্বন্ধে শরৎচন্দ্রের বক্তব্য 8? সাহিত্য মা থাকাই ভাল। সতীত্বের ধারণ চিরদিন এক নয় । পূৰ্ব্বেও ছিল না, পরেও হয় ত একদিন থাকবে না। একনিষ্ঠ প্রেম ও সতীত্ব যে ঠিক একই বস্তু নয়, এ কথা সাহিত্যের মধ্যেও যদি স্থান না পায়, ত এ সত্য বেঁচে থাকবে কোথায় ?.. এই অভিশপ্ত, অশেষ ছুঃখের দেশে, মিজের অভিমান বিসর্জন দিয়ে রুষসাহিত্যের মত যে দিম সে অারও সমাজের নীচের স্তরে নেমে গিয়ে তাদের সুখ-দুঃখ-বেদনার মাঝখানে দাড়াতে পারবে, সে দিন এই সাহিত্য-সাধনা কেবল স্বদেশে নয়, বিশ্ব-সাহিত্যে ও আপনার স্থান ক’রে নিতে পারবে -“সাহিত্যে আর্ট ও দুর্নীতি।”

  • 赛 影

•••নানা অবস্থা বিপর্যায়ে একদিন নানা ব্যক্তির সংশ্রবে আসতে হয়েছিল । তাতে ক্ষতি যে কিছু পৌছায় নি তা নয়, কিন্তু সে দিন দেখা যাদের পেয়েছিলাম, তারা সকল ক্ষতিই আমার পরিপূর্ণ করে দিয়েছে। তারা মনের মধ্যে এই উপলব্ধিটুকু রেখে গেছে, ত্রুটি, বিচ্যুতি, অপরাধ, অধৰ্ম্মই মাহুষের সবটুকু নয়। মাঝখানে তার যে বস্তুটি আসল মানুষ--তাকে আত্মা বলা যেতেও পারে—সে তার সকল অভাব, সকল অপরাধের চেয়েও বড় । আমার সাহিত্য রচনায় তাকে যেন অপমান না করি । হেতু যত বড়ই হোকৃ, মাতুষের প্রতি মামুষের ঘৃণা জন্মে যায়, আমার লেখা কোন দিন যেন না এত বড় প্রশ্রয় পায় । কিন্তু অনেকেই তা আমার অপরাধ বলে গণ্য করেছেন, এবং যে অপরাধে আমি সবচেয়ে বড় লাঞ্ছনা পেয়েছি, সে আমার এই অপরাধ। পাপীর চিত্র আমার তুলিতে মনোহর হয়ে উঠেছে, আমার বিরুদ্ধে তাদের সবচেয়ে বড় এই অভিযোগ । 8