পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎচন্ত্রের পত্রাবলী । * : একেবারে বার করতে পারলেই বড় ভাল হোতে । কেন না, এ রকম ছোট ধরণের গল্প ক্রমশ:” বড় সুবিধে হয় না । যা হোক যখন হয়নি তার জন্তে আলোচনা বৃথা । আমি দু একদিনের মধ্যে আৰু একটা গল্প পাঠাব (আপনার জবাব পেলে পাঠাব ), এ গল্পট। আমার বিবেচনায় ‘রামের সুমতি’র চেয়ে ভাল তবে দুঃখের বিষয় এই ষে প্রায় ঐ রকম বড় হয়ে পড়েচে । এত চেষ্ট করেও ছোট করা গেল না । ভবিষ্যতে চেষ্টা করে দেখি কি হয় । ৩য় কথা-‘চন্দ্রনাথ’ নিয়ে কি একটা বোধ করি হাঙ্গাম{ আছে । তাই বলি ওতে আর কাজ নেই । ‘চরিত্রহীন’ বার করা যাবে। অবশ্ব সে জন্ত কাগজ কিছু বড় করা চাই-কিন্তু মূল্য কত এবং কবে থেকে বাড়াবেন এক্ট লিখবেন । দাম না বাড়ালে কিছুতেই কাগজ বড় করে গচ্ছ দেওয়া উচিত নয়। ৪র্থ কথা-সমাজপতির সঙ্গে অসদ্ভাব করবেন না এইটাই বলেচি, তাকে খোসামোদ করতে বলি নি। ফণীবাবু, আপনার দোকানের মাল যদি খাটি হয়, একদিন পরে হোক পাচ দিন পরে ছোক খদের জুটবে। মাল ভাল না হলে হাজার চেষ্টাতে দোকান চলবে না— চার দিনে হোক মাসে হোক ফেল হ’তে হবে । আমার ছেলেবেলার ছাই-পাশ ছাপিয়ে আমাকে যে কত লজ্জা দেওয়া হচেচ এবং আমার প্রতি কত অম্ভায় করা হচ্চে ত{ আমি লিখে জানাতে পারিনে । সমাজপতি সমজদার লোক হয়ে কেমন করে যে ঐ ছাই ছাপালেন আশ্চৰ্য্য ! ৫ম কথা—সৌরীনবাবুর সঙ্গে আপনার আজকাল মিল কেমন ? তিনি আমার দিদির লেখা সমালোচনাটা দেখেছেন কি t বোধ হয় খুব রাগ করেচেন না ? কিন্তু আমার দোষ কি ? যিনি