পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট্র 》$> অত:পর মুরু হইয়া গেল প্রতিবাদের প্রতিবাদ, আবার তারও প্রতিবাদ । দুই একটা কাগজ খুলিলে এখনও একট-ন-একটা চোখে পড়ে । কিন্তু আমরা ভাবি, শরৎবাবুর অপরাধ হইল কিসে । তিনি বলিয়াছিলেন, বাংলা দেশের লোকে চবুক গ্রহণ করে নাই । সুতরাং গ্রহণ না করার জন্য অপরাধ যদি থাকে, সে এ দেশের লোকের । খামোক তাহার উপর রাগ করিয়া লাভ কি ? বিষয়ে আমার নিজেরও স্বৎকিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা আছে। স্বচক্ষে দেখিয়াছি তো এই বছর আষ্ট্রেক চরকা লইয়া লোকের সঙ্গে কি ধ্বস্তাধস্তিষ্ট না হইল। কিন্তু প্রথম হইতেই মামুষে সেই যে ঘাড় বাকাইয়। কুচিল, স্বরাজের লোভ, মহাস্নাজির দোহাই, বন্দে মাতরমের দিব্যি, কোনও কিছু দিয়াই সে বঁাকা ঘাড় আর সোজা করা গেল না, যে বা লইল, চরকার দাম দিল না ; বক্তৃতার জোরে যাহাকে দলে আমা গেল, সে বিপদ ঘটাইল আরও বেশী । নব উৎসাহে কাজে মন দিয়া দিন পনেরো পরেই জোটপাকানো একমুঠ স্বত আনিয়া হাজির কপিল । আষ্টে-পৃষ্ঠে তাছাতে নাম ধাম সমেত লেবেল আঁট অর্থাৎ গো মান্সে ক্ষোয় না যায়ু । কহিল দিন তো মশাই একখানা প্রমাণ শাড়ী বুনে । কৰ্ম্মীরা কহিত—এতে কি কখনো শাড়ী হয় ? হয় না ? আচ্ছা, শাড়ীতে কাজ নেই, ধূতিই বুনে দিন, কিন্তু দেখবেন, বঙ্গর ছোট ক’রে ফেলবেন না যেন । কৰ্ম্মীরা-এতে ধূতিও হবে না। হবে না কি রকম ? আচ্ছা ঝাড়া দশ হাত না হোক ন'হাত