পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনাবলী $8% 'এলোচুলে বেণে বউ আলতা দিয়ে পায়, নলক নাকে, কলসী কঁাকে, জল আনতে যায়।’ ইত্যাকার কবিতায় ঈশ্বর গুপ্তকে স্মরণ হয়। 磷 撐 韃 “আমি যত দূর জানি, দীনবন্ধুর প্রথম রচনা “মানবচরিত্র"নামক একটি কবিতা। ঈশ্বর গুপ্ত কর্তৃক সম্পাদিত সাধুরঞ্জন’-নামক সাপ্তাহিক পত্রে উহা প্রকাশিত হয়। অতি অল্প বয়সের লেখা, এজন্য ঐ কবিতায় অকুপ্রাসের অত্যন্ত আড়ম্বর। ইহাও, বোধ হয়, ঈশ্বর গুপ্তের প্রদত্ত শিক্ষার ফল। অন্যে ঐ কবিতা পাঠ করিয়া কিরূপ বোধ করিয়াছিলেন বলিতে পারি না, কিন্তু উহা আমাকে অত্যস্ত মোহিত করিয়াছিল। আমি ঐ কবিতা আদ্যোপান্ত কণ্ঠস্থ করিয়াছিলাম এবং যত দিন সেই সংখ্যার সাধুরঞ্জনগানি জীর্ণগলিত না হইয়াছিল, তত দিন উহাকে ত্যাগ করি নাই।“ঐ কবিতা আমাকে এমনই মন্ত্ৰমুগ্ধ করিয়াছিল যে, অদ্যাপি তাহার কোন কোন অংশ স্মরণ করিয়া বলিতে পারি। ※ 米 সেই অবধি, দীনবন্ধু মধ্যে মধ্যে প্রভাকরে কবিতা লিখিতেন। তাহার প্রণীত কবিতাসকল পাঠক-সমাজে আদৃত হইত। তিনি সেই তরুণ বয়সে যে কবিত্বের পরিচয় দিয়াছিলেন, তাহার অসাধারণ স্বরধুনী’ কাব্য এবং দ্বাদশ কবিতা সেই পরিচয়াহুরূপ হয় নাই। তিনি দুই বৎসর, জামাই-ষষ্ঠীর সময়ে, "জামাই-ষষ্ঠী” নামে দুইটি কবিতা লেখেন ‘সংবাদ প্রভাকর, ৫ জুন ১৮৫১ ও ২৫ মে ১৮৫২)। এই দুইটি কবিতা বিশেষ প্রশংসিত এবং আগ্রহাতিশয্যের সহিত পঠিত হইয়াছিল। দ্বিতীয় যৎসরের "জামাই-ষষ্ঠী" যে সংখ্যক প্রভাকরে প্রকাশিত হয়, তাহ পুনমূদ্রিত করিতে হইয়াছিল। সেই