পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t% বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সার্থকতা তেমনই বাংলার প্রবন্ধ-সাহিত্য ও সমালোচনা-সাহিত্যের অভিনব বিকাশ ও বিস্তারের মধ্যে। বস্তুত: ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিক, সৰ্ব্বশুভকরী বিবিধার্থসমূহ, সোমপ্রকাশ ও বহন্ত-সম্বর্তী প্রভৃতিতে যে সম্ভাবনার আংশিক আভাস মাত্র পাওয়া গিয়াছিল, বঙ্গদর্শন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তাহার পূর্ণবিকশিত রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করিলাম। প্রবন্ধ-সমালোচন। যে কতকগুলি সংবাদ (news) ও তথ্যের সমষ্টিমাত্র নয়, সেগুলিও যে নানা বিচিত্র রস-সংযোগে সাহিত্য-পদবাম হইয়া উঠিতে পারে, পাঠকের শিক্ষা ও জ্ঞানবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আনন্দেরও খোরাক জোগাইতে পারে, বঙ্গদর্শনেই সেই সত্য সৰ্ব্বপ্রথমে প্রচারিত श्ट्रेण । অবশ্য ইহাতে বঙ্কিমচন্দ্রের কৃতিত্বই পনর আন ; তাহারই আদর্শ, উদ্দীপনা ও উপদেশে জগদীশনাথ রায়, রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, অক্ষয়চন্দ্র সরকার, তারাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, রামদাস সেন প্রভৃতি স্বনামধন্য পণ্ডিতেরা লেখনী ধারণ করিয়াছিলেন। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রের নব নব উদ্ভাবনী প্রতিভা গতানুগতিকতা ও একঘেয়েমির হাত হইতে প্রবন্ধ • ও সমালোচনা-সাহিত্যকে রক্ষা করিয়া আসিয়াছে। বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, সমাজতত্ত্ব, ধৰ্ম্মতত্ত্ব, ইতিহাস প্রত্নতত্ত্ব, অর্থনীতি, সঙ্গীত, ভাষাতত্ত্ব—এমন কোনও বিষয় নাই, যাঠাতে তিনি হস্তক্ষেপ করেন নাই, এবং যাহাতেই তিনি হাত দিয়াছেন, তাহাই সৃষ্ট্ৰিত্য হইয়াছে। ংলায় যে প্রবন্ধ-সাহিত্য ও সমালোচনা-সাহিত্যের আমরা আজ গৌরব করি, তাহা.এক বঙ্কিমচন্দ্রেরষ্ট স্বষ্টি। তাহার এই স্থষ্টিকাল ১৮৭২ খ্ৰীষ্টান্ধ হইতে ১৮৯২ খ্ৰীষ্টাক পৰ্য্যন্ত কুড়ি বংসর বিস্তৃত এবং এগুলি বঙ্গদর্শন, ভ্রমর নবজীবন’ ও ‘প্রচার' পত্রিকার পৃষ্ঠাতেই আত্মপ্রকাশ করে। এই যুগের প্রারম্ভে ও শেষে প্রধানতঃ মুখার্জিস ম্যাগাজিনের