পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}} • মধুসূদন দত্ত ধক্ ধৰ্ব্ব করিয়া কি প্রচও দীপ্তি উদিত হইল। বঙ্গসাহিত্যে সেই অপূৰ্ব্ব প্রদোৎকালের কথা আমরা কখনই বিশ্ব হুইব না। সংস্কৃত কবি এক স্থানে বলিয়াছেন— o যাত্যেকতোহস্তশিখরং পতিরোধঃস্থ আবিষ্কৃতারুশপুরঃসর একতোহক । , একদিকে ওষধিপতি চন্দ্র অস্ত যাইতেছেন। অপর দিকে অরুণকে অগ্রসর করিয়া দিবাক্ষর দেখা দিতেছেন। যঙ্গসাহিত্যজগতে যেন সেই প্রকার দশা ঘটিল! ঈশ্বরচন্ত্রের ৯ প্রতিভার কমনীয় কান্তির মধ্যে মধুসূদনের প্রদীপ্ত রশ্মি আসিয়া পড়িল। বঙ্গসাহিত্যের পাঠকগণ আনদের সহিত এক নূতন জগতে প্রবেশ করিলেন।—২য় সংস্করণ, পৃ. ২২৭-৮। এই নৃতন জগৎ নানা দিক্ দিয়া বিচিত্র। এই বৈচিত্র্যের দ্বারা যদি প্রতিভার বিচার করিতে হয়, তাহা হইলে বাংলাসাহিত্যে মধুস্থানকে শ্ৰেষ্ঠ কবি-প্রতিভা বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে। শুধু র্যাঙ্ক ভার্স বা অমিত্রাক্ষর ছদই নয়, বাংলা কাব্যে ‘চতুর্দশপদী” নামীয় সনেট মধুসূদনের একান্ত নিজস্ব আবিষ্কার। আধুনিক রীতিসম্মত লিরিক বা , গীতি-কবিতার প্রবর্তৃক তিনি ; ইতালীয় কবি ওভিদের “Heroic Epistles"-এর ধরণে ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে পত্রচ্ছলে কাব্যরচনার যে রীতি তিনি অনুসরণ করিয়াছিলেন, বাংলা ভাষায় তাহাও নূতন। ফরাসী কবি La Fontaine-এর ধরণে “নীতিগর্ড” কবিতারও স্থিান প্রবর্তক। ইউরোপীয় পদ্ধতিতে বাংলা ভাষার মহাকাব্যের তিনি একমাত্র জনয়িতা—‘মেঘনাদবধ বাংলা ভাষায় একমাত্র মহাকাব্য। কাব্য ও কবিতায় নূতনত্ব সম্পাদন ছাড়াও বাংলা-সাহিত্যের অন্যান্য বিভাগেও মধুসূদনের কীৰ্ত্তি অতুলনীয়। বাংলা ভাষায় প্রহসন