পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থাবলী బ్రీఫ్ ১১। গাজী মিয়ার বস্তানী, প্রথম অংশ (উপন্যাস)। ১৫ আশ্বিন ১৩৬৬, ইং ১৮৯৯ 1. १. 8०० ।। আধ্যাপত্রে লেখকের নাম নাই; কেবল “সত্বাধিকারী উদাসীন পথিক” কথাগুলি মুদ্রিত আছে। অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এই পুস্তকের সমালোচন-প্রসঙ্গে লিখিয়াছিলেন – “গাজী মিয়ার বস্তানী একখানি বিচিত্র সমাজচিত্র, সুশোভিত সুলিখিত উপন্যাস। ইহাতে নাই, এমন রম দুৰ্ল্লভ ! কটু, তিক্ত, কায়-অম্ল, অম্লমধুর,— মধু, অতিমধুর-যাহ চাও, তাহাই প্রচুর। অথচ সকল রসের উপর দিয়া কাতর করুণরস উছলিয়া পড়িতেছে । গ্রন্থকার স্পষ্টবাদী হইলে শ্রুতিকটুরোধ পরিহার করিতে পারেন না; } কথা সত্য হইতে পারে, সকল স্থলে হমিঃ হয় না। সুতরাং গাজী মিয়ার কথা স্থানে স্থানে বড়ই কড়া ইয়াছে। তিনি দৃঢ় মুষ্টতে কশধারণ করিয়া যেখানে ধাহীর পৃষ্ঠে আঘাত করিয়াছেন, সেখানেই যেন পাপ, আথান্তধ্বনি ফুটয়৷ উঠিয়াছে, কাতর ক্রদনের সঙ্গে রক্তধারী ছুটির ছিটকাইয়। পড়িয়াছে! সে আঘাত কাহার পৃষ্ঠে বা পতিত হয় নাই ? পাঠক ! হয় ত তুমি আমি আর তাহার কেহই বাদ যায় নাই !-- BBBBB BB BBBBD DDB BBB BBS BBBBS BBB অবষ্ঠক অনাবশ্বক অনেক প্রকারের পল্লী-চিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন; তন্মধ্যে মফস্বলবাসী ভাল ফল সকল প্রকার লোকেরই ছবিদেশিষ্ঠ পাওয়া যায়। কখন কখন মনে হয়, বুঝি তোমাকে আমাকে লক্ষা করিয়াই এই পুস্তক লিখিত হইয়াছে। কেবল পাত্ৰগণের নাম জয়ঢ়াক, ধিনতাধিন তেনাচের দাগাদারী তুড়ক পাহাড় ইত্যাদি ইত্যাদি বলিয়া যায় কিছু রক্ষা! বস্তানীর পত্নী-চিত্র ইংরাজরাজ্যের লজ্জার বিষয় ; পড়িতে পড়িতে মনে হয়, ইংরাজরাজ্যের বাঞ্ছিয়ে বিলাস্তি বালিস, ভিতরে টিনের পাতা, দেখিতে পুব জমকাল। আইন আছে, আদালত আছে। জাপালের উপর আপীল আছে, কিন্তু বিচার মাই! ছোট লোকের সঙ্গে ছোট লোকের মোকদ্দমায় সুবিচারের ব্যাঘাত ঘটে না, কিন্তু ছোট