পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“সন ১৩০৩ ] জোয়ার ভঁাটা । ఇసై> বৰ্ত্তমান কালে ২৪ ঘণ্টা হইয়াছে। দিনমানের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চন্দ্রের দূরত্বের বৃদ্ধি হইতেছে। এক্ষণে চান্দ্রকক্ষার ব্যাসৗদ্ধ ২,৪০,০০০ মাইল ; জোয়ার ভাটা প্রযুক্ত এই ব্যাসাৰ্দ্ধ অনবরত বাড়িতেছে। চান্দ্রকক্ষার ব্যাসাৰ্দ্ধ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতেছে, এ কথা বলিলেই বলা হইল যে, ইহা পূর্বে পূর্বে কমিতেছিল। চন্দ্ৰ অদ্য যতদূরে আছেন, কল্য কিয়ৎ পরিমাণে নিকটে ছিলেন, তাহার আর সন্দেহ নাই; যদিও দূরত্বের দৈনিক বার্ষিক অন্তর অকিঞ্চিৎকর, বুঝা যায় না বুলিলেই হয়, তথাপি লক্ষ, দশলক্ষ অথবা কোটি বর্ষ পূৰ্বে আমাদের অনেকটা কাছে ছিলেন । এমনও সময় छिल, যখন ২৪০০ ০০ মাইলের *Сей зоооо,so eo о DD SDDLL SS SDDDSS DBDDBDBBDBB DS SKDD DDD DBBD BDDJD SB KBDSS এবং কোন বাহ্য প্ৰতিবন্ধক না ঘটিয়া থাকে, তবে আরও কম ছিল বলিলে বা দোষ কি । পৃথিবীর অঙ্গস্পর্শপুর্বক যে চন্দ্ৰ ভ্ৰমণ করিতেন, তাহা সন্দেহ স্থল নহে! এ অবস্থায় চন্দ্রের আবৰ্ত্তন কাল গণিতের অনায়ান্ত নহে। এই অপূৰ্ব্বকালে চন্দ্ৰ ৩ বা ৪ ঘণ্টাল भgक्षJ आद6िड श्cडन । ২৮ । চন্দ্রের জন্ম -এখন যদি জিজ্ঞাসা করি, চাঁদ কেমন করিয়া পৃথিবীর এত নিকটে আসিলেন। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হইলে বলিতে হইবে যে ধারণী যখন সুখনম্য অবস্থায় ছিলেন, তখন তাহার দেহ হইতে চন্দ্ৰপিণ্ড বিশ্লিষ্ট হইয়া থাকিবে। ইহা কেরল অনুমান মাত্র ; প্ৰকৃত ঘটনা বলিয়া সহসা স্বীকার করা কীৰ্ত্তব্য কি না তাহা বিবেচ্য। ' এরূপ অনুমানের প্রত্যক্ষ প্ৰমাণ অসম্ভব, তথাপি এ মতকে অযৌক্তিক বা অমূলক বলা যায় না। মতটি যে সন্দেহ-পরিশূন্য, তাহা বলা বাহুল্য, জ্যোতিষীদিগের মধ্যে এত সাহসপূর্বক এরূপ অদ্ভুত কল্পনা কেহ কখন করেন নাই। সুদক্ষ গণিতজ্ঞ ডারবীন সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ বৎসর পূৰ্ব্বে ৩ ঘণ্টা মধ্যে পৃথিবীর অক্ষাবৰ্ত্তন হইত এবং তৎকালে ঐ ৩ ঘণ্টার মধ্যে চন্দ্রের ভদ্রম সম্পন্ন হইত। এই সময়ে পৃথিবী সম্পূর্ণরূপে দ্রবময়ী ছিলেন এবং সূৰ্য্যাকর্ষণে প্ৰচণ্ড ভয়ানক উচ্ছাসপ্রযুক্ত নিরক্ষাপ্রদেশ হইতে একখণ্ড দ্রব পদার্থ বিমুক্ত হইয়া নভোমণ্ডলে সুধাংশুরূপে আৰ্জিত হইলেন। তবে চন্দ্ৰই কুঙ্গ হইলেন ; মঙ্গল ভূমিস্থত নহোন! ২৯। অস্থায়ী সাম্যভাব ।--আদি অবস্থায় পৃথিবী ও চন্দ্র সংশ্লিষ্ট ছিলেন।f তখন প্রাচীন পৃথিবীর আবৰ্ত্তন কাল ২৪ ঘণ্টার স্থলে ৩/৪ ঘণ্টা ছিল ; ৩৪ ঘণ্টার” মধ্যে পৃথিবীর ‘আবৰ্ত্তন হইত, সেই ৩৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাচীন পৃথ্বীপরিত চন্দ্র পরিভ্রমণ করিতেন, সুতরাং তখন পৃথীন্দু মুখামুখী করিয়া ঘুরিতেন। এরূপ ভ্ৰাম্যমাণ বৰ্ত্তলদ্বয়ের অস্থায়ী সাম্যভাব। কতক্ষণ থাকিতে পারে ? সুচখাড়া হইয়া কতক্ষণ থাকিতে পারে ? সুচ এক দিকে না এক দিকে অবশ্য পড়িবেই। চন্দ্ৰ এই অবস্থায় টলটলোয়মান হইলেন, তিনি আর তিষ্টিতে পারিলেন না, তাহাকে এক দিকে না একদিকে পড়িতে হইল। উভয় শঙ্কটে পড়িয়া কিংকৰ্ত্তব্য বিচারপূর্বক যাহা করিলেন, তাহা দেখিতে পাওয়া যাইতেছে। চন্দ্ৰ