পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Abr. - সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা [ ፭ብማዘቀ ! সম্বন্ধে মধুসূদনের এক জন প্রধান উৎসাহদাতা ছিলেন। তিলোত্তমাসম্ভব তাঁহার উৎসাহে লিখিত এবং তাহার অর্থে মুদ্রিত হয়। তিনি মেঘনাদবধে মধুসূদনের অসামান্য প্ৰতিভা দেখিয়া, অপরিসীম প্রীতিলাভ করেন। মধুসূদন এইরূপে বাঙ্গাল কাব্যে অচিন্ত্যপূর্ব বিষয়ের অবতারণা করিয়া অনন্ত কীৰ্ত্তির অধিকারী হয়েনি। ভারতচন্দ্ৰ কবিতাকে যে পথে পরিচালিত করিয়াছিলেন, ঈশ্বরচন্দ্ৰ যে পথের পথিক হইয়াছিলেন, মদনমোহন এবং রঙ্গলাল যে পথের গৌরববৰ্দ্ধনে প্ৰয়াস পাইয়াছিলেন, মধুসূদনের প্রতিভায় সেঃ পথ পরিবৰ্ত্তিত হয়। বাঙ্গাল কবিতায় যে, এইরূপ পরিবর্তন ঘটবে, তাহা প্ৰথমে কেহই মনে করেন নাই। কিন্তু মধুসূদনের ক্ষমতায় সহৃদয়গণ অসম্ভবকে সম্ভব বলিয়া মনে করেন। মধুসূদন অসাধ্য সাধন পূর্বক ইহাদিগকে বিস্ময়ে যেরূপ স্তম্ভিত করেন, সেইরূপ কবিতারাজ্যেও চিরজয়ী এবং চিরগৌরবান্বিত প্ৰতিভাশালী মহান পুরুষ বলিয়া সম্পূজিত হয়েন। মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের সময়ে বাঙ্গালা গদ্য সাহিত্য ইয়ুরোপীয় সাহিত্যের সংশ্রবে উন্নতিপথে অগ্রসর হয়। কিরূপে বিচারনৈপুণ্য প্রকাশ করিতে হয় ; কিরূপে বৈজ্ঞানিক প্ৰবন্ধ লিখিতে হয় ; কিরূপে সমাজতত্ত্বঘটিত বিষয়ের আলোচনা করিতে হয় ; রামমোহন রায় বাঙ্গালা ভাষায় তাহার পথপ্রদর্শক। পাশ্চাত্য ভাষার অনুশীলন দ্বারা তিনি বোধ হয়, এই পথ দেখাইতে সমর্থ হইয়াছিলেন। তঁহার প্রতিভায় বাঙ্গালা ভাষা অভিনব পথে পরিচালিত হয়। কৃষ্ণমোহন এবং রাজেন্দ্ৰলাল এই পথের প্রসারণে সবিশেষ যত্ন করেন । ইহাদের নানাবিষয়িণী অভিজ্ঞতায় 'বাঙ্গালা ভাষা পাশ্চাত্য ভাষার সংশ্রবে নানা বিষয়ে পুষ্ট্রিলাভ করিতে থাকে। বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমার প্রভৃতির প্রতিভাবলে এ বিষয়ের উৎকর্ষ সাধিত হয়। রামমোহন যে বিষয়ের প্রবর্তন করিয়াছিলেন, অক্ষয়কুমার সেই বিষয় সুসংস্কৃত এবং সমধিক উজ্জল করিয়া বাঙ্গালা ভাষার গৌরববৃদ্ধি করেন। বিভিন্ন সভ্য জনপদের ভাষা, ভিন্নদেশীয় উন্নতিশীল ভাষার সাহায্যে পরিপুষ্ট এবং শ্ৰীসম্পন্ন হইয়াছে। বাঙ্গালী ভাষা পাশ্চাত্য প্ৰণালীতে এবং পাশ্চাত্য ভাষার ভাবে সঞ্জীবিত হওয়াতেই উহার অভাবনীয় উন্নতির পরিচয় পাওয়া যাইতেছে। রামমোহন প্ৰভৃতির প্রতিভায় বাঙ্গালা গদ্যে পাশ্চাত্য প্ৰণালী প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছে। মধুসূদনের প্রতিভায় বাঙ্গালা পদ্য অভিনব রীতিতে পরিচালিত হইয়া, গাম্ভীৰ্য্য ও ভাববৈচিত্র্যের পরিচয় দিয়াছে। মধুসুদন দেখাইয়াছেন, বাঙ্গালী ভাষা নবীন লতার ন্যায় কেবল কোমল ভাবে আনত থাকে না। উহা দৃঢ়তায় ও স্থিতিস্থাপকতায় অনেক কঠিন পদার্থকেও অতিক্ৰম করিয়া থাকে। যে কবিতা এক সময়ে কামিনীর কোমলকণ্ঠধ্বনির ন্যায় নিরবচ্ছিন্ন নিজীবি ভাবের পরিচয় দিত, তাহা BBDB SgBDDSLDDOuDBDDB DBD DY DBS sg S DBD KYDDD LgBD श्घ्रा, शर्डीब्र डांद ॐकांश कब्रिोडक्। কিন্তু মধুসুদন পাশ্চাত্য ভাব রাজ্যে আত্মসংযমের পরিচয় দিতে পারেন নাই। বিদেশীয় সাহিত্যের উপকরণে স্বদেশীয় সাহিত্যের সৌন্দৰ্য্যসাধন করিতে হইলে স্বদেশীয় রীতিনীতির