পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भान ४७>७ ] ७tiशा-फ्रीक्लि S86 কথাটা এখানে বসিয়াই শুনিয়াছি, আরো শুনিলাম, যত বিলাতী লবণ চিনি ও বিলাতী। BDD BBD DBDB S BD BDS DDD DDDD LDBB D BB BBD DBBBS যাক, দয়া করিয়া তোমরা খবরটা দিয়া রক্ষা করিয়াছ, কিন্তু বল দেখি, এখন গত পাপের উপায় কি করি ? যা-তা হারাম খাওয়াইয়া হারাম পরাইয়া, খৃষ্টান, জাতিতে জাতি মারিয়া গেল, হায় হায় কি পাথর-পরাণ, অন্ধ হইয়া বঁচিয়া আছি, তবু মরিলাম না ! বল, বল, কেরামতে, শেষের সেই ভীষণ বিচারনিকাশের দিনে এ বিষয়ের কি জবাব দিব ? অ্যা, তাই নাকি ? দেশেই কাপড় চিনির কাল হইতেছে নাকি ? সেখান হইতে বিশুদ্ধ দ্রব্য পাইব ? তবে আর কি ? তবে যে যথায় থাক, অশুদ্ধ লৌহপাত্র (এনামেল) সকল চূৰ্ণ করিয়া আস্তাকুড়ে, পথে ফেলিয়া দাও, আজ হইতে হে ভাই সব, হে আত্মীয়কুটুম্বস্বজনবৰ্গ, হে আমাদের সমাজের মাতৃ এবং ভগিনীরূপিণী ললনাগণ, আজ হইতে ঐ অশুদ্ধ হারাম পাত্ৰাদি দূরে নিক্ষেপ করিয়া আমাদের প্রাচীন নানাতন প্রথায় কদলীপাত্রের নিম্নপৃষ্ঠে অন্ন রাখিয়া अक्षांझें कद्ध । * হায় । আমিরুল্লা তুমি অন্ধ, কিছু দেখিতে পা ও না, কিন্তু তেরশত বারসন বৎসরটায় বড় কষ্ট গেল, এ বৎসর ভীষণ বর্ষণ ও প্লাবন হইয়াছে, গ্ৰামে গ্রামে ওলাদেবীর আবির্ভাবে বহু গৃহ শূন্য হইয়াছে, তার উপর, যেন সেই বর্ষার জলের নীচেই লোকে চক্ষুর অগোচয়ে সহসা কোম্পানীর মুলুক উলটিয়া গেল, বাঙ্গালা আসাম হইল ! অন্ধ আমিরুল্লার রাত্ৰিদিন সমান, তাহার নিজের দুঃখের আর তারতম্য কি ? किल्लु হে ভগবান! এ কি শুনছি, দিন দিন এসব কি হইতেছে ? লোকের জাতি, সম্পত্তি, প্ৰাণ এমন করিয়া হৃত, বিচ্ছিন্ন এন্দু নষ্ট হইতেছে কেন ? হায় হয়, এতদিন হারাম চিজ’ সব ব্যভার করিয়া কি পাপাই করিয়াছি, , বুন্দার আগুণে নিজে নিজের মুখ পুড়িয়াছি, এখন যদি প্ৰায়শ্চিত্তে একটু ও ফল পাওয়ার 'नष्ठावन থাকে, তবে, হারাম ত্যাগ কর, জাকজমক ত্যাগ কর, কলার খোলা পোড়াইয়া তাহাই লবণরূপে ব্যবহার কর, তবু হারাম খাই ও না, দেখ, জীবনে যা ভুল হক্টরা গিয়াছে তার আর “চারা” নাই ; এখন আর কোন চুক যেন পারতপক্ষে কোন মতে করো না ।” অন্ধ কবির পক্ষে কি স্বাভাবিক উক্তি ! এমন কবির জন্মে। শুধু পল্লী নয়, সমগ্ৰ বঙ্গই রত্নগৰ্ভ। আমরা কবির গৃহের সন্ধান পাই নাই, কিন্তু ইনিও টাঙ্গাইল অঞ্চলের কোন পল্লীর অধিবাসী ; নন্দনপুরের ধূয়া হইতে এইরূপই বুঝা যায়। বঙ্গভঙ্গে কবি হৃদয়ে কি আঘাত পাইয়াছেন। আপন আগার ও ধৰ্ম্মের প্রতিই বা তঁহার কি গভীর অনুরক্তি। এই ঐতিহাসিক অন্ধ পল্লী-কবি সরলতায়, বুদ্ধত্বে-প্রবীণতায় সজীবরূপে ফুটিয়া উঠিয়াছেন, আর মৰ্ম্মের একটা ‘হুবহু' ক্ষত চিহ্নের চিত্র আঁকিয়া দেখাইয়াছেন। পঞ্জীর ধূলিমাঝে এই রত্ন কুড়াইয়া পাইয়াছি। কিন্তু এমন রত্বের খনিটকে দেখিতে না পাইয়া ক্ষুগ্রহৃদয়ে ফিরিয়াছিলাম । (कभ**) শ্ৰীদক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার । Σ, ο