পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गन •७००1 পুড়োজাতির বিবরণ - SN উদরে। জন্মিল পৌণ্ডক জাতি অবনী ভিতরে।” পুরাণের এই সাক্ষ্য গ্ৰহণ করিলেই देहांब्रां জল-চল জাতি হয়। আজ কাল যে আভিজাত্য যুগ উপস্থিত হইয়াছে, তাহাতে এই বৰ্ত্তমানের* জল-চল পুড়ো জাতিও হিন্দুর উচ্চবর্ণের অভিমান করিবে, ইহা অসঙ্গত নহে। বিশেষতঃ বিগত সেনাসস রিপোর্টে সমগ্ৰ পুড়োজাতি এই প্ৰমাণ দেখাইয়া গভৰ্ণমেণ্টে দরখাস্ত করিয়া পৌণ্ডরিক নামে অভিহিত হইয়াছে। ইহাদের জাতি মধ্যে কোন ধারাবাহিক তত্ব লিখিত বা প্ৰচলিত নাই, অথবা এই শ্রেণীর ব্ৰাহ্মণগণ কোনরূপ ‘কারিকা’ কিংবা ‘কুলপঞ্জিক”। প্ৰস্তুত করেন নাই ; সুতরাং ইহাদের মৌখিক কথাকেই প্ৰমাণ মধ্যে গণ্য করিয়া এই প্ৰবন্ধের উপসংহার করিতে হইতেছে। উল্লিখিত ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণের শ্লোক হইতে অনুমিত হইতে পারে যে, वृशंभशप्या १वथनौन গর্ভে ক্ষত্ৰিয়ের ঔরসে পৌণ্ড,জাতির উৎপত্তি হওয়ায়, ইহাৱা মাতৃজাতি প্ৰাপ্ত হইয়া বৈশ্য হইয়াছে। ইহাদের আনুষ্ঠানিক ক্রিয়া হইতেও ইহাদিগকে বৈশ্য বলা যাইতে পারে। অধুনা ইংরাজী শিক্ষার বলে ইহারা ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্টের অধীন যে পদই লাভ করুক না কেন, পঞ্চাশ বর্ষ পূর্বে ইহারা সকলেই যে কৃষিজীবী ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। নানাবিধ তরকারী ও হরিদ্রা মৌরী আদা প্ৰভৃতি মসলা উৎপন্ন করাই ইহাদের প্রধান কাৰ্য্য। কৃষিকাৰ্য্যই পুরাণমতে বৈশ্যবর্ণের মুখ্য-কাৰ্য্য, বৈশ্যানীর গর্ভে উৎপন্ন হওয়া ও ঐতিহাসিক বিপ্লবে মুসলমান রাজগণ কর্তৃক স্বদেশ হইতে পবিতাড়িত ও হৃতসৰ্ব্বস্ব হওয়ায় কৃষিপ্রধান বঙ্গে ইহারা কৃষিকাৰ্য্য অবলম্বন করিয়াছে। কৃষ্ণপক্ষে পুণ্ডরিক সম্বন্ধে অন্য এক অনুমানও উপস্থিত হয়। যশোর, খুলনা, বরিশাল প্রভৃতি জেলার বারজীবি-জাতির মধ্যে দুই সম্প্রদায়ের বারুই দেখা যায় ; কৃষ্ণপক্ষ বারুই ও শুক্লপক্ষ বারুই। কৃষ্ণপক্ষ বারুয়ের অপর নাম মগের বারুই। প্ৰায় দুইশত বর্ষ পূর্বে এই অঞ্চলে মগদিগের অমানুষিক অত্যাচার ছিল। এই অত্যাচার-নিবন্ধন এই অঞ্চলের ব্ৰাহ্মণ বৈদ্য কায়স্থ বারুই প্ৰভৃতির মধ্যে একটী “মগো” থাকি হইয়াছে। বারুইজাতির মগোদল মাগো নাম অতি স্বাণিত বলিয়া কৃষ্ণপক্ষ বারুই নাম লইয়াছেন। সম্ভবতঃ প্ৰতিবেশী বারুইগণের অনুকরণে মাগো পুণ্ডরিক কৃষ্ণপক্ষ পুণ্ডরিক নামে পরিচিত হইয়াছে। F বঙ্গে দুই শত বর্ষ পূর্বে মোগল পাঠানগণের জয় পরাজয় ও আধিপত্য স্থাপন লইয়া অপর জাতিগণের প্রতি অনেক প্রকার অত্যাচার ও উৎপীড়ন চলিয়াছিল। সেই সুত্রে গৌড় পাণ্ডুয়া রাঢ় প্রভৃতি দেশে ইসলামবাহিনীর যেরূপ গতিবিধি হইয়াছিল, তাহাতে কত উচ্চ শ্ৰেণীয় জাতিকে স্থানচ্যুত হইয়া নিম্ন বঙ্গের অধুষিত প্রদেশে বসবাস করিতে হইয়াছে। যাহাম্বের ধনসম্পত্তি ছিল না-যাহারা দেশ হইতে ব্ৰাহ্মণ, গুরু-পুরোহিত, ক্ষৌরকার প্রভৃতি আনিতে পারেন নাই, তাহাদিগকে বাধ্য হইয়া নিম্নবঙ্গের হিন্দুশ্রেণীর নিয়ন্তরে অবস্থিত করিতে হইয়াছিল। কে জানে, কালে পুরাতত্ত্বানুসন্ধান ফলে কোন নিম্ন শ্রেণী কোন মহাজ্জাতির অধঃপতিত শাখা বলিয়া প্ৰমাণিত হইবে । পৌণ্ডকজাতীয় লোকসমূহ যে রাঢ়দেশ হইতে এই দেশে নবাগত তাহার। আর একটী প্ৰমাণ পাওয়া যায়। পঞ্চাশ বর্ষ পুর্বে এই অঞ্চলে তরকারীর ব্যবহার SR 0