नन्म >७»७ ] কবি গঙ্গারাম ও মহারাষ্ট্র-পুরাণ SS - নবাব ছিলেন, তখন বাঙ্গালার বাদশাহী খাজনা দিল্লী যাইত, সেখান হইতে মাহারাট্ট চোথাই পাইত, এখান হইতে কখন দেওয়া হয় নাই। তাহার পর নবাব উকীল পাঠাইয়া ভাস্করকে দিল্লী হইতে চৌথ নিবার জন্য অনুরোধ করিালেন। ভাস্কর বলিলেন, দিল্লীর বাদশাহর হুকুমে যখন আসিয়াছি, তখন রাজ্য নষ্ট করিয়াও চৌথ লইয়া যাইব । নৰাব আশায় পড়িয়া চৌথ দিবার জন্য ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন,- “এতেক শুনিয়া যবে, নবাব জানিল তবে, ডাক দিয়া জমাদারে কহে । ] যত জমাদার ছিল, তারে নবাব কহিল, চৌথাই চাহে বারে বারে ৷” জমাদার অর্থাৎ সেনাপতিরা নবাবের মনোভাব বুঝিয়া বলিল,- a Ytt f , সিপাএরে। ܐ ܓ ܕܙ•6" আমরা যত লোকে, মরিব বরাগিকে, দেশে যেন আইস্তে নাই পারে ৷” সৈন্যগণের বেতন পাওনা ছিল, তাহারা দেখিল টাকাটা কেন বাহিরে যায়, নবাব ও কথাটা গ্ৰাহ করিলেন, কারণ দিল্লীপতির ন্যায় শর্তাহার। আর তখন “হেন কোন জন নাই তারে গিয়া আনে” বলিয়া নাকে কঁান্দিবার অবসর রহিল না। নবাব তার পর, “পানবাটা কাছে ছিল, পান তুইলা সভারে দিল।”-যুদ্ধের উদ্যোগ পড়িয়া গেল। qtिर डांशज्ञ *रेि७ङ७ गांख्रिड লাগিলেন। যে সকল সর্দার সজ্জিত হইলু, কবি গঙ্গারাম তাহদের নামের একটা তালিকা দিয়াছেন,- “ধামধাম মাত্র আর হিরামন কাশী । গঙ্গাজি আমজ জাএ আর সিমান্ত জোশী ৷ বালাজি জাএ আর সেবাজি কোহেড়া। সঙুজি জাএ আর কেশোজী আমোড়া ॥ কেশব সিংহ মোহন সিংহ এ দুই চামার । যার সঙ্গে জাএ ঘোড়া পাচ হাজার } এই দশজন জাএ গ্ৰাম লুঠিতে। আর দশজনা থাকে নবাবের চারিভিতে ॥ বাংলারাও শেষরাও আর শিশু পণ্ডিত । সোমন্ত সেহড়া আর হিরামন মণ্ডিত ! মোহন রায় পীতারা এ আর শিশোপণ্ডিত। যার সঙ্গে আছে বরগী মহা বিপরীত ॥ শিবাজী সামাজি আর ফিরঙ্গরাএ। লুটিতে যাহার সঙ্গে বরগী দ্রুত ধাএ ॥ আদি * ° সুনন্দন খা আর ভাস্কর। এই চৌদ্দ জনাতে ঘেরিল লস্কর ৷” কবি গঙ্গারাম। এই করগিসর্দারদের নামাবলি না দিয়া যদি নবাবের সেনাপতি জমাদায়দিগের নামাবলি শুনাইতেন, তাহা হইলে আজ বাঙ্গালার ঐতিহাসিক তত্ত্বান্বেষীদিগের বেশী তৃপ্তির কারণ হইত। যাহা হউক, ভাস্কর একদিন দুই দিন করিয়া সাত দিন বৰ্দ্ধমান অবরোধ করিয়া বসিয়া রফিন্ডারূপমণ্ডল নগরের অবস্থাটা কবি যেরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, তাহ শুনাইতেছি,- “ ﷽. • አማ\ } NY M
